প্রতীকী ছবি
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে বাসে-ট্রেনে করে ফিরতে শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গের নানা জেলা থেকে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। দক্ষিণবঙ্গের জেলায় পৌঁছনো শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে উত্তরবঙ্গের নানা জেলার একাধিক বাসিন্দা রয়েছেন। তাঁদের দক্ষিণবঙ্গ থেকে বাসে বহরমপুর পর্যন্ত আনা হচ্ছে, তারপর সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে শিলিগুড়ি আসছেন তাঁরা।
এছাড়া, রেল সূত্রে দাবি, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বেঙ্গালুরু থেকে রওনা হওয়া একটি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন এনজেপি পৌঁছবে। এ দিন চেন্নাই থেকে মিজোরামগামী একটি ট্রেনও এনজেপি থামবে। ওই ট্রেনে সিকিমের ১৫০ জন বাসিন্দার আসার কথা। যারা এনজেপি নেমে সিকিম যাবেন। স্টেশনের বাইরে সকলের জন্য মন্ডপ বানিয়ে জেলাওয়ারি স্থানান্তরকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে ওই যাত্রীদের নিজের নিজের জায়গায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন রেল ও জেলা প্রশাসন।
এনজেপির স্টেশন অধিকর্তা রাজীব ঝা বলেন, ‘‘অনেকদিন ধরেই বেঙ্গালুরু থেকে ট্রেনটির আসার কথা ছিল। রেলের তরফে যাবতীয় প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেটি এনজেপি আসবে বলে আমাদের কাছে খবর এসেছে।’’ গত এক সপ্তাহ থেকে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন যাতায়াত শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এলাকাতেও অন্যান্য ডিভিশন থেকে এসেছে শ্রমিক ট্রেন। তবে দক্ষিণ ভারত থেকে সরাসরি এনজেপিতে এই প্রথম কোনও ট্রেন ঢুকছে।
দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন এবং রেল সূত্রে দাবি, বেঙ্গালুরু থেকে আসা এনজেপিগামী ওই ট্রেনটিতে মোট ১৪৯৭ জন সওয়ারি রয়েছেন। তার মধ্যে ৪৩৫ জন উত্তরবঙ্গের। কিন্তু মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের যাত্রীরা নেমে গেলে এনজেপি এসে পৌঁছানোর কথা ১৬০ জনের। এনজেপিতে ট্রেন ঢোকার আগে শুরু হয়েছে যথেষ্ট প্রস্তুতি। এনজেপি স্টেশন চত্বরে জেলাওয়ারি শিবির করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের বাস স্টেশন চত্বরে থাকবে বলে সূত্রের দাবি।
মঙ্গলবার রাতে বেঙ্গালুরু থেকে পুরুলিয়ায় একটি ট্রেন ঢুকেছে। কিন্তু তাতে উত্তরবঙ্গের কত শ্রমিক রয়েছেন, পরিষ্কার নয় জেলা কর্তাদের কাছে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের দাবি, রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে ঢোকা ট্রেনের যাত্রীদের যারা উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা তাঁদের বহরমপুর এনে সেখান থেকে উত্তরবঙ্গের বাসে চাপানো হচ্ছে। বুধবার ভেলোর থেকে খড়্গপুর ঢুকছে আরও একটি শ্রমিক স্পেশ্যাল। শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক সুমন্ত সহায় বলেন, ‘‘আমরা পর্যাপ্ত বাস বহরমপুরে রাখছি, যাতে বাইরে থেকে আসা যে কেউ উত্তরবঙ্গে ফিরতে পারেন।’’ বাসগুলি তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে আসার পরেও সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy