লকডাউনের সময় বিধি ভেঙে ভিড় জমানোর অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতর বিরুদ্ধে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুংবস্তিতে তাঁর দফতরের সামনে মাঝেমধ্যেই লোক জড়ো করে ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে। শনিবার ফেসবুকে সেই ছবি ভাইরাল হয়।
তারপরেই মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
যদিও রামভজনের দাবি, তিনি অসুস্থ বলে বাড়িতে রয়েছেন। মামলার ব্যাপারে জানেন না। বামেদের দাবি, পুলিশের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
লকডাউন বিধি উপেক্ষা করার জন্য শহরে গত তিন-চার দিনে বেশকিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে এই প্রথম এমন অভিযোগ উঠল। পুলিশ সূত্রে দাবি, ৩ মার্চ কাউন্সিলরের অফিসের সামনে ত্রাণ বিলি হচ্ছিল। সেই সময় সেখানে প্রায় ৭০-৮০ জন ভিড় করেন। তা নিয়ে তৃণমূল নেতারা ফেসবুকে নানা অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। এলাকার তৃণমূল নেতা সন্তোষ সাহা বলেন, ‘‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও তো এই কাজ করা যায়। তা কেন করা হচ্ছে না?’’ রামভজন ছাড়াও আরও আটজন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি কুঁয়র ভুষণ সিংহ বলেন, ‘‘অভিযোগ ছিল। ঘটনা যাচাই করে মামলা দায়ের করা হয়।’’ যদিও ওই মামলা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে রবিবার দাবি করেন রামভজন। তিনি জানান, ত্রাণ বিলির সময়ে সেখানে ছিলেন না। বলেন, ‘‘আমরাও চাইছি না ভিড় হোক। কিন্তু ত্রাণ তো দিতে হবে। ঘটনার সময় পুলিশই লাইন ঠিক করেছিল বলে শুনলাম।’’
শিলিগুড়ির মেয়র ও বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সবাই ত্রাণ বিলি করছে। মানুষ খেতে পাচ্ছে না। চিকিৎসা ঠিক মত হচ্ছে না। সেগুলি না দেখে এই সময় এসব খুব হাস্যকর।’’
লকডাউনের সময় বিধি ভাঙার অভিযোগ মেয়রের বিরুদ্ধেও তুলেছেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার। তাঁর দাবি, মেয়র এবং তাঁর গোষ্ঠীর নেতারা লোক দেখানো কাজ করেই বিধি ভাঙছেন। সামাজিক দূরত্ব মেয়রও মানছেন না। তাঁর এইভাবে ঘোরা উচিত নয়।’’
তৃণমূলের দাবি, এর পিছনে শাসকদলের কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই। পুলিশের যা ঠিক মনে হয়েছে তাই তারা করেছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)