প্রতীকী ছবি
জেলায় করোনা চিকিৎসায় নিযুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা না করার অভিযোগ উঠেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জেলা থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য লালারস পাঠানো হচ্ছে না
বলেও অভিযোগ।
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার তথা সহকারি অধ্যক্ষ প্রিয়ঙ্কর রায়ের বক্তব্য, ‘‘হাসপাতালের কোনও চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর করোনার প্রাথমিক উপসর্গ মিললে, নিশ্চয়ই তাঁদের লালারস পরীক্ষা করানো হবে।’’ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জেলা থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে লালারস পরীক্ষার জন্য না পাঠানোর বিষয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের দাবি, আইসিএমআর-এর প্রোটোকল মেনেই জেলায় করোনা মোকাবিলা ও চিকিৎসার কাজ চলছে।
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের দাবি, তাঁরা রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতাল-সহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও এলাকায় করোনা চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের কথায়, ‘‘করোনার উপসর্গ নেই। সেই যুক্তিতে আমাদের লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। তাতে আমাদের অনেকেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছি।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, জেলার হাজারখানেক বাসিন্দার লালারস বিনা পরীক্ষায় জমে রয়েছে। যাঁদের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে, তাঁরা কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকলে, তাঁদের থেকে পরিজন ও গোষ্ঠীতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার দাবি, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে লালারস পরীক্ষায় বকেয়া থাকায় এক সপ্তাহ ধরে জেলা থেকে সেখানে লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy