বহির্বিভাগের বাইরে লালারস সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।
করোনা পরীক্ষা করানোর পরেই বিহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য মিলছে প্রয়োজনীয় টিকিট। এমনই নিয়ম চালু হয়েছে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। বহির্বিভাগে আসা সমস্ত রোগীর জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেখানে। ব্লকের অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও এই ব্যবস্থা হয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। ময়নাগুড়িতে করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা প্রতিদিনই
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ময়নাগুড়িতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩৪ জন। প্রতিদিনের পরীক্ষাতেও গড়ে ৫-৬ জনের সংক্রমণ মিলছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সকলেরই পরীক্ষা করা জরুরি বলে দাবি স্বাস্থ্যকর্তাদের ।
ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসা রোগী নাজিমা খাতুন বলেন, ‘‘আউটডোরের টিকিট কাটতে গিয়েছিলাম। জানালো, করোনা পরীক্ষা না করালে টিকিট দেওয়া হবে না। তাই পরীক্ষা করে নিলাম। এতে ভালই হল। করোনা হয়েছে কিনা, তা-ও জানতে পারব।’’বহির্বিভাগে আসা রোগীদের করোনা পরীক্ষা করাতে তেমন আপত্তি শোনা যাচ্ছে না বলে দাবি স্বাস্থ্যকর্মীদের। সকলেই নির্দেশ মেনে পরীক্ষা করিয়ে নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, র্যাপিড অ্যান্টিজেন এবং ভিডিআরএল দু’ধরনের পরীক্ষাই করা হচ্ছে। ব্লকের ৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও সপ্তাহে একদিন করে করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে পরীক্ষা করাটা খুবই জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। হাসপাতালের কর্তব্যরত এক চিকিৎসকের কথায়, ‘‘পরীক্ষা করা হলেই আক্রান্তদের চিহ্নিত করা সহজ হবে। এর আগে বিভিন্ন এলাকায় শিবির করে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হলেও শিবিরগুলিতে পরীক্ষা করতে আগ্রহ দেখা যায়নি। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা সকলেই পরীক্ষা করছেন।’’
ময়নাগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক লাকি দেওয়ান বলেন, ‘‘করোনা পরীক্ষা না করালে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবে না। এই ফতোয়া জারি করায় পরীক্ষার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। পরীক্ষার রিপোর্টে গড়ে ৫-৬ জনের পজ়িটিভ ধরা পড়ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy