—প্রতীকী চিত্র।
বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়ের মনোনয়নের দিনও ‘অস্বস্তি’ জিইয়ে রইল পদ্ম শিবিরে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক থেকে শুরু করে, রাজ্য বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিজ্ঞা-সহ সাংসদ-বিধায়কেরা ধূপগুড়ি বিধানসভা উপ নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়ের সঙ্গে ছিলেন। তার পরেও ক্ষোভ চাপা থাকল না দলে।
কর্মীদের একাংশ, এমনকি, ধূপগুড়ির কিছু নেতাও এ দিন দলের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে জলপাইগুড়িতে আসেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “দল এক জন শহিদ জওয়ানের স্ত্রীকেপ্রার্থী করেছে। যে জওয়ান দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। অনেকেরই প্রার্থী হওয়া নিয়ে আশা ছিল। বড় দলে এমন হয়।”
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের দফতরে তাপসী রায়ের আগেই নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দু’বারের বিজেপির পঞ্চায়েতে জয়ী সদস্য তারামণি রায়। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী দাবি করে়ন, তিনি তারামণিকে চেনেন না। এ দিন মনোনয়ন জমা দিতে আসার সময়ে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তীর সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন বাপি-সহ অন্যেরা। অলোক জেলা সভাপতিকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ। পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা অলোক চক্রবর্তীর মারধর করেছেন। যদিও জেলা বিজেপি সভাপতি জানন, তিনি এমন ঘটনা জানেন না।
ধূপগুড়ি বিধানসভা উপ-নির্বাচনে ৪০ জন তারকা প্রচারককে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। তালিকায় রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রের নেতারা। মিঠুন চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ, অমিত মালব্য থেকে অনন্ত মহারাজের নামও রয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সময় হলে, সবই দেখা যাবে।”
দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা এবং জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ও এ দিন মনোনয়নে ছিলেন। ধূমধাম করে মনোনয়ন দিলেও নির্দল এবং বিক্ষুব্ধ-কাঁটা পদ্ম শিবিরে কতটা জেগে থাকবে তানিয়ে আশঙ্কা উস্কে দিয়েছে জেলা সভাপতির নীরবতা। তবে জেলা সভাপতির প্রত্যয়, “দল বিপুল ভোটে জিতবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy