রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।—ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তুফানগঞ্জে রাজনৈতিক সংঘর্ষ থামার নাম নেই। মঙ্গলবার রাতে ফের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিধানসভা এলাকার ধলপল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুরিয়ার পার এলাকা বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে স্বাভাবিক হয় এলাকা।
তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের একটি পার্টি অফিসে হামলা করা হয়েছে। এলাকায় কর্মী বৈঠক চলার সময় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ঘিরে রাখার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপিরও অভিযোগ, তাদের এক কর্মীর দোকান ভাঙচুর করে তৃণমূল কর্মীরা। একটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় এবং যৌন হেনস্থার চেষ্টা করা হয় এক মহিলাকে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
ভোট যত এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক উত্তাপ তত বাড়ছে তুফানগঞ্জে। প্রায় প্রতিদিনই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের অভিযোগ উঠছে। তুফানগঞ্জের সাধারণ লোকজনের অভিযোগ, করোনার এমন সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ। সেই বিষয়টি উপলব্ধি না করে রাজনীতি করে চলেছে বিভিন্ন দল।
মঙ্গলবার রাতের ঘটনার বিষয়ে এলাকার অঞ্চল সভাপতি সিদ্ধার্থ মণ্ডল বলেন, ‘‘গুরিয়ারপার এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমাদের একটি কর্মী সভা ছিল। সেই কর্মিসভায় যাতে কর্মী এবং লোকজন যেতে না পারেন, সেজন্য সকাল থেকেই এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছিল বিজেপি। তবুও মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ে চারর্পাশে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ঘিরে রেখেছিল বিজেপি। পরে মিটিং শেষে বাড়ি ফেরার সময় আমাদের দুই কর্মীকে মারধর করা হয়।’’
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি দল থেকে যোগদান পর্ব চলছে প্রতিদিন তৃণমূলে। এখন আর বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। মঙ্গলবার রাতে কর্মিসভার বানচালের চেষ্টা করে বিজেপি। পরে আমাদের কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি স্থানীয় কার্যালয়ে হামলা করে বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।’’ পাল্টা কোচবিহার জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি পুষ্পেন সরকার বলেন, ‘‘ধলপল এলাকায় আমাদের এক কর্মীর দোকান এবং এক সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী মদ্যপ অবস্থায়। এক মহিলার যৌন হেনস্থার চেষ্টাও করা হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’
তুফানগঞ্জ পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy