মহারাষ্ট্রের হিংসা-বিধ্বস্ত পরভণীতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। আগামিকাল তাঁর সেখানে যাওয়ার কথা। রাহুলের ওই কর্মসূচিকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এ দিকে, অর্থনৈতিক সমীক্ষা নিয়ে মন্তব্যের জেরে উত্তপ্রদেশের বরেলীর একটি আদালত লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে সমন পাঠিয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ১০ ডিসেম্বর মরাঠাওয়াড়া এলাকার পরভণীতে সংবিধানের অবমাননার অভিযোগে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান অম্বেডকরবাদী নেতা সোমনাথ সূর্যবংশী ও বিজয় ওয়াকোডে। অভিযোগ, পুলিশি হেফাজতে সূর্যবংশীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। আর বিজয়ের মৃত্যু হয় বিক্ষোভ চলাকালীন। কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিয়ার জানিয়েছেন, লোকসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যবংশী এবং ওয়াকোডের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।
রাহুলের এই কর্মসূচিকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি তথা রাজস্বমন্ত্রী চন্দ্রশেখর বাবনকুলে। তিনি বলেন, ‘‘এ সব নাটক না করে বরং নজর দেওয়া উচিত এই ধরনের (পরভণীর মতো হিংসা) ঘটনা যেন আর না ঘটে। সমাজ এবং সকল সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ রাখতে বিজেপি এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার সব সময় দায়বদ্ধ।’’ রাহুলের সমালোচনা করে শিবসেনার সাইনা এনসি বলেন, ‘‘সংসদের বাইরে যখন হাতাহাতি হয়, তখন রাহুল গান্ধী বাইরে বার হন না, আর এখানে আসছেন চার্টার্ড বিমানে। এই দ্বিচারিতা মানুষ বুঝতে পারছেন। আমরা সূর্যবংশীর পরিবারে সঙ্গে রয়েছি। এ নিয়ে আমরা কোনও রাজনীতি করতে চাই না।’’
লোকসভা নির্বাচনের প্রচার জাতগণনা এবং অর্থনৈতিক সমীক্ষা নিয়ে বক্তব্যের জেরে বরেলী আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল। সূত্রের খবর, আগামী ৭ জানুয়ারি রাহুলকে হাজিরা দিতে বলেছে বরেলীর আদালত। সেই মর্মে নোটিস পাঠানো হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে জাতগণনা নিয়ে এক মন্তব্যের জেরে আদালতে মামলা হয়। আবেদনকারী পঙ্কজ পাঠকের দাবি, ‘‘আমরা অনুভব করেছি, রাহুল গান্ধী জাতগণনা নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু করার চেষ্টার মতো। আমরা প্রথমে এমপি-এমএলএ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। তার পরেই আমরা জেলা জজ আদালতে যাই। সেখানে আমাদের আবেদন গৃহীত হয়েছে এবং রাহুলকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)