মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়িতে মিলল বিপুল টাকা। — নিজস্ব চিত্র।
এ বার টাকার পাহাড়ের সন্ধান মিলল মৎস্যজীবীর বাড়িতে। রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে মালদহের গাজোলে। সেখানে এক মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল টাকার সন্ধান পায় সিআইডি। ওই টাকা গোনার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় যন্ত্রও। অভিযান শেষে জানা যায়, এক কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
গাজোলের ঘাকশোল এলাকার বাসিন্দা জয়প্রকাশ সাহা। পেশায় তিনি মৎস্য ব্যবসায়ী। রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ সিআইডির একটি দল তাঁর বাড়িতে যান। শুরু হয় তল্লাশি। সেই তল্লাশিতে জয়প্রকাশের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে সিআইডি সূত্রে। ওই টাকা গোনার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় যন্ত্রও। সিআইডি আধিকারিকদের ওই যন্ত্র হাতে জয়প্রকাশের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা যায়। শুরু হয় টাকা গোনার পর্ব। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ কোটি ৩৯ লক্ষ ৩ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। বিপুল টাকা উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই জয়প্রকাশের বাড়ির আশপাশে কৌতূহলী মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। যদিও বাড়ির চারপাশে মোতায়েন করা হয় বাহিনী। কিন্তু তল্লাশির সময় ওই মৎস্যজীবীর বাড়িতে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। দিন ভর তল্লাশির পর বিকেলে জয়প্রকাশকে গ্রেফতার করে সিআইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয় টাকাও।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়প্রকাশ নামে ওই মৎস্যজীবী সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত। তিনি মূলত, নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচার করতেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে সিআইডির এসএস আনিস সরকার বলেন, ‘‘আজ সকালে গোপনসূত্রে খবর পেয়ে আমরা এখানে অভিযান চালাই। আমরা জানতে পারি, এই টাকাটা মাদক, মূলত ফেনসিডিল বিক্রি করে পাওয়া গিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এই টাকাটা যে এখানে পাওয়া যেতে পারে সেই খবরও পেয়েছিলাম আমরা। তার ভিত্তিতেই এখানে তল্লাশি চালাই। জয়প্রকাশ সাহা মাদক পাচারে সরাসরি যুক্ত কি না তা তদন্তসাপেক্ষ বিষয়। আমরা একটি মামলা শুরু করে তদন্ত শুরু করব। আমাদের কাছে আরও কিছু তথ্য আছে। কোথা থেকে মাদক পাচার হত তাও তদন্তসাপেক্ষ বিষয়। আমরা জয়প্রকাশকে গ্রেফতার করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy