প্রথমে রাজি ছিলেন না৷ কিন্তু আধিকারিকরা বহুবার বলার পর শেষ পর্যন্ত বিকেলে জেলের ভেতরেই ভাই মানস ভৌমিককে ফোঁটা দিলেন শিশু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তী৷ একই অভিযোগে মানসও জেলবন্দি।
জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে প্রতি বছর যে সমস্ত অনুষ্ঠান পালন করা হয়, এর মধ্যে রয়েছে ভাইফোঁটাও৷ শনিবার দিনভর ভাইফোঁটা ঘিরে উৎসবের মেজাজ ছিল সংশোধনাগারে চত্বরে৷ সংশোধনাগারের ভেতরে থাকা আবাসিকদের থেকে ফোঁটা নিতে বা তাঁদের ফোঁটা দিতে সকাল সকালই সংশোধনাগারে চলে এসেছিলেন অতিথিরা৷ সংশোধনাগারের গেটের সামনে তিনজন আবাসিককে পালা করে নিয়ে এসে পালন হয় উৎসব।
তবে সংশোধনাগারের ভেতরে থাকা ভাই-বোনের ক্ষেত্রে ফোঁটার ব্যবস্থাটা ছিল একটু আলাদা৷ সেক্ষেত্রে এক এক করে সেই ভাইদের আনা হয়েছিল ফিমেল ওয়ার্ডের সামনে৷ এবং সেখানেই তাদের ফোঁটা দিয়েছেন বোনেরা৷ সংশোধনাগারের সুপার শুভব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইচ্ছুকরা ভাইফোঁটা দিতে বা নিতে পারবেন বলে সকালেই সব আবাসিককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷
সংশোধনাগার সূত্রের খবর, সকাল থেকে ভাইফোঁটা শুরু হলেও তার থেকে নিজেদের একটু দূরেই রেখেছিলেন চন্দনা ও মানস৷ শিশু পাচারকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চন্দনাকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি৷ একই অভিযোগে তার পাঁচদিন পর গ্রেফতার করা হয়েছিল চন্দনার ভাই মানসকে৷ কিছুদিন সিআইডির হেফাজতে থাকার পর দুজনেই এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই রয়েছেন৷ সংশোধনাগারের একটি সূত্রের দাবি, একই জেলে থাকলেও, দুই ভাই বোনের মধ্যে ইতিমধ্যেই খানিকটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে৷ ফলে বাকিরা ভাইফোঁটায় মেতে উঠলেও, আর পাঁচটা দিনের মতই সকাল থেকেই তাঁরা নিজের মত করেই কাটাচ্ছিলেন৷ কিন্তু বিকালে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন জেলের এক আধিকারিক৷ তখনও চন্দনা ওই আধিকারিককে বলেন, ‘‘কী আর ভাইফোঁটা দেব, স্যার ৷ ইচ্ছা করছে না৷’’ তবে শেষ পর্যন্ত ওই আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার পর ভাইফোঁটায় রাজি হন তাঁরা৷ ফিমেল ওয়ার্ডের সামনে মানসকে ফোঁটা দেন চন্দনা৷ ভাইকে মিষ্টিও খাইয়ে দেন ৷ তারপর দু’জনে ফের নিজেদের ওয়ার্ডে ফিরে যান৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy