উদ্ধার হওয়া বোমা।
তাজা বোমা উদ্ধার হল ভোটকর্মীদের বুথে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাখা গাড়ি থেকে। মালদহ পলিটেকনিক কলেজের পাশে গাড়িটি রাখা ছিল। নিরাপত্তার কড়াকড়ি রয়েছে গোটা এলাকায়। সেখানে কীভাবে গাড়ির মধ্যে তাজা বোমা রাখা হল তা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে গোটা জেলায়।
এই পলিটেকনিক কলেজেই ইভিএম বিলি এবং জমা নেওয়ার কেন্দ্র হয়েছে। এখানে থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলির দিকে রওনা দিয়েছেন ভোটকর্মীরা। শনিবার সকালে বোমা উদ্ধার হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধের পর থেকেই কলেজের পাশে গাড়িগুলি রাখা ছিল। সেখানে পুলিশের সঙ্গেই মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানও। তারপরেও কী ভাবে গাড়িতে বোমা রাখা হল, কে রাখল তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ।
বোমা উদ্ধারের পরে গাড়ি চালককে কয়েক দফায় জেরা করে পুলিশ। মালদহের অতিরিক্ত জেলা শাসক কাঞ্চন চৌধুরী বলেন, ‘‘গাড়ি থেকে চারটি বোমা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।’’
এদিকে চালককে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে জেলার গাড়ি চালক সংগঠনের সদস্যরা মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কালিয়াচকের ট্যাক্সি ও ট্রেকার মজদুর উন্নয়নের কোষাধ্যক্ষ সন্তোষ মন্ডল বলেন, ‘‘গাড়ির চালকই প্রথম বোমা দেখতে পেয়ে পুলিশ প্রশাসনকে জানায়। আর উল্টে তাঁকেই হেনস্থা করে পুলিশ।’’ বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অবরোধ চলার পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
জানা গিয়েছে, যে গাড়িতে বোমা মিলেছে তার গাড়ির চালকের নাম শেখবার শেখ। তিনি কালিয়াচকের শ্রীলামপুরের চুরিবালা মোড়ের বাসিন্দা। বৈষ্ণবনগরের ১২১ নম্বর বুথের যাওয়ার কথা ছিল কালিয়াচকের ট্যাক্সি ও ট্রেকার মজদুর ইউনিয়নের এই সদস্যের। শেখবার দাবি করেন, এ দিন সকালে গাড়ির ভিতরে একটি সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখতে পান তিনি। ব্যাগটি খুলে দেখেন চারটি বোমা রয়েছে। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গিয়ে বোমা গুলি উদ্ধার করে। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজে থেকেই পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি। কেউ হয়তো আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন করে থাকতে পারে। আমি এর তদন্ত চাইছি।’’
বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, ভোটারদের পাশাপাশি ভোটকর্মীদের মধ্যেও আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই গাড়িতে বোমা রাখা হয়েছিল। এর জন্য শাসকদলকেই দায়ী করেন তাঁরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী, এ দিন বোমা উদ্ধারের ঘটনাই তার প্রমাণ। আগামীকাল ভোটের দিন কী পরিস্থিতি হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হুসেন পাল্টা বলেন, ‘‘বিরোধীরাই ভোটে হারার ভয়ে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে। কে বোমা রাখল তা নিয়ে প্রশাসন তদন্ত করুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy