প্রতীকী ছবি।
আট মাস আগে নিখোঁজ হওয়া বধূর প্লাস্টিকে মোড়া পচাগলা দেহ উদ্ধার হল মাটি খুঁড়ে। বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি নির্জন স্থান থেকে বধূর দেহ উদ্ধার হওয়ার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁর সৎ ছেলে-সহ চার জনকে। অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই সৎমা-কে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন ওই যুবক।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে কমলাহাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কলোনিপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গ্রামেরই একটি খালের পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে বধূর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতার নাম অর্চনা বর্মণ। বয়স ২৮।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রায়গঞ্জের রামপুরের বাসিন্দা অর্চনার বিয়ে হয়েছিল কলোনিপাড়ার অজয় বর্মণের সঙ্গে। অর্চনা ও অজয় দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। বছরখানেক আগে একটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন অজয়। বিচারাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর কিছু দিন পরেই বাড়ি থেকে আচমকা অর্চনা নিখোঁজ হয়ে যান। কর্ণজোড়া ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয় তা নিয়ে। অর্চনা নিখোঁজ হওয়ার পর তদন্তে নেমে সৎ ছেলে গোপাল বর্মণকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু তথ্যপ্রমাণের অভাবে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
তার আট মাস পর বুধবার মধ্যরাতে উদ্ধার হল অর্চনার দেহ। সোনা তপ্ন নামে স্থানীয় তৃনমূলনেত্রী দাবি করেন, দিন কয়েক আগে দুই স্থানীয় যুবক তাঁর কাছে গিয়ে অর্চনাকে খুনের ঘটনার কথা জানান। ওই দুই যুবকই অর্চনার বস্তাবন্দি দেহ মাটিতে পুঁতে দিয়েছিলেন। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সেই কাজে তাঁদের বাধ্য করা হয়েছিল বলে ওই দুই যুবক জানিয়েছেন। সোনা বলেন, ‘‘ওই দুই যুবকের থেকে অর্চনা খুনের বৃত্তান্ত শোনার পর পুলিশের কাছে যাই আমি।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় তৃণমূলনেত্রীর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বুধবার মাটি খুঁড়ে অর্চনার দেহ উদ্ধার করা হয়। মাটি খোঁড়ার সময় পুলিশের সঙ্গেই ছিলেন সোনা। এর পর প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান এবং আগের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন বসন্ত বর্মণ, অচিন্ত্য বর্মণ ও ফুলেশ্বর মাহাতো নামে আরও তিন জন।
তদন্তকারীরা জানান, তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে মৃতার দেহের ময়নাতদন্ত এখনও হয়নি। তা না-হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy