সশস্ত্র অবস্থায় মিছিল করে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় দিনহাটা থানার বুড়িরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
বিজেপির অভিযোগ, এখন পর্যন্ত ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ১০ জনকে মারধর করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিজেপির নাজিরগঞ্জ বুথের সভাপতি উত্তম দত্ত সহ ৩ জনকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিজেপির দিনহাঁটা ২ নম্বর ব্লক মণ্ডল সভাপতি বীরেন রায়ের গ্রামের বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে দাবি। তৃণমূল অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।”
দলীয় সূত্রের খবর, বুড়িরহাটের একাধিক সিপিএম নেতা ও কর্মী এক সময় বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদেরই একজন হলেন বীরেন রায়। সেই সময় থেকে সেখানে উত্তেজনা রয়েছে।
দিন কয়েক আগে রামনবমীর মিছিলের পরে এলাকায় ফের সংগঠনের কাজে জোর দেয় বিজেপি। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ক’দিন ধরেই গণ্ডগোল চলছিল। বিজেপি অভিযোগ করেছে, এ দিন নাজিরগঞ্জ, গতিকচুয়া, ভোরাম সহ নানা বুথে বেছে বেছে একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে জানান, জেলায় ছক কষে বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ কোচবিহারে আসবেন। তিনি বলেন, “আমাদের লড়াই জারি থাকবে। এ ভাবে আমাদের শেষ করা যাবে না।”
বিজেপির সহ সভাপতি ব্রজগোবিন্দ বর্মন জানান, তারা খুব শীঘ্র দিনহাটা মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থানে বসবেন। তৃণমূলের দাবি, সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন এমন কয়েকজন এলাকায় টানা সন্ত্রাস করেছে। তারাই এখন মারধরের মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন। দিনহাটার তৃণমূলের বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “মিথ্যে অভিযোগ। বিজেপিতে যে কয়েকজন আছেন তাঁরাই এক সময় এলাকা সন্ত্রস্ত করে রাখতেন। এদের মধ্যে একজন সাদ্দাম নামেও পরিচিত ছিল এখন তাঁরাই মিথ্যে অভিযোগ তুলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy