—প্রতীকী চিত্র।
এক বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল মালদহের বামনগোলা ব্লকের মদনাবতি কয়নাদিঘির গ্রামে। মৃতের নাম বুরন মুর্মু। স্থানীয়দের অভিযোগ, বুরনকে খুন করেছেন তাঁর ছেলে বিপ্লব মুর্মুই। কারণ, বিপ্লবের স্ত্রী তৃণমূলের টিকিটে পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ভোটে বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে যান। অন্য দিকে, বুরন বিজেপির কর্মী ছিলেন। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। সেখান থেকেই বাবাকে ছেলে খুন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ‘রহস্যমৃত্যু’র খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
মালদহের বামনগোলা ব্লকের ১৯ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী করে শর্মিলা মাড্ডিকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শর্মিলার শ্বশুর এবং শ্বশুরবাড়ির সবাই বিজেপির সমর্থক ছিলেন। শর্মিলার শ্বশুর বুরন সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। তাঁর পুত্রবধূ তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর পর পরিবারের মধ্যেই অশান্তি শুরু হয়। গ্রামবাসীর অভিযোগ, বিপ্লবের স্ত্রী ৫৬ ভোটে হেরে যাওয়ার পর বিপ্লবের সঙ্গে তাঁর বাবা বুরনের ঝগড়া শুরু হয়। অভিযোগ, সেই গন্ডগোল থেকেই বাবাকে খুন করেছেন বিপ্লব।
শনিবার বুরনের বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বিজেপির কাছে হেরে যাওয়ার আক্রোশ ছেলে বাবাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘আমাদের দলের ওই প্রবীণ কর্মীকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। তাঁর ছেলে এবং স্ত্রী মিলে খুন করেছেন। যেহেতু শর্মিলা তৃণমূলের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন, তাই বদলা নিতেই বুরনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অভিযুক্ত ওই দুজনকে যাতে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয়, তার দাবি জানানো হয়েছে।’’ যদিও সাংসদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, এটা পারিবারিক বিবাদ। রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘‘এখানে রাজনৈতিক কোনও বিষয় জড়িত নেই। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটা নিতান্তই পারিবারিক বিষয়। পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’’
বামনগোলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মৃতের পুত্রবধূকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত বিপ্লব মর্মু পলাতক। তার খোঁজ চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy