ফাইল চিত্র।
অমিত শাহের তিনবিঘা সফরকে হাতিয়ার করে চাঙ্গা হতে চাইছে বিজেপি। দলের তরফে শুরু হয়েছে প্রচার। দলীয় সূত্রে খবর, কোচবিহারের সাংসদ তথা স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ওই সফরে থাকার কথা রয়েছে। জেলার বিধায়কেরা ওই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টাও করবেন। তা নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে চাইছেন না। বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “আমরা এখনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসূচি জানতে পারিনি। তিনি আসবেন বলে শুনেছি। আমরাও ওই দিন তিনবিঘায় যাব। তাঁকে স্বাগত জানাব।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক নেতা বলেন, “বিজেপির একটি স্তম্ভ অমিত শাহ। তিনি কোচবিহার সফরে আগেও এসেছেন। এ বার সীমান্ত সফর করবেন। দলীয় কোনও কর্মসূচি নেই তাঁরা। আমরা চেষ্টা করব তাঁর সঙ্গে দেখা করার।”
বিধানসভা নির্বাচনের পরে কোচবিহারে বিজেপির সংগঠন অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। জেলায় ছ’জন বিধায়ক, একজন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থাকার পরেও বিজেপি সংগঠন চাঙ্গা করতে পারছে না বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এ ছাড়া বরাবর কোচবিহারে রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়েও সরব হয়েছে বিজেপি। দল মনে করছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্ত পরিদর্শনে কোচবিহার সফর করা মানে দলের পক্ষে তা ভাল হবে। তিনি যে পদক্ষেপের কথা জানাবেন তা দলের পক্ষেই যাবে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্ত সফর করতেই পারেন। কিন্তু বিজেপির লাভ হবে না। কারণ কোনও প্রতিশ্রুতি বিজেপি কখনও পালন করেনি।
এ দিকে, অমিত শাহের তিনবিঘা সফরকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব তিনবিঘা সংলগ্ন এলাকায়। কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরের অধীনে শুরু হয়েছে রাস্তা সংস্কারের কাজ। ভবন, শৌচাগার সংস্কার হচ্ছে। আশেপাশের জঙ্গল সাফ করতেও দেখা যায় বিএসএফ জওয়ানদের। গত মাসে ঝড়ে তিনবিঘা করিডরে লাগানো ব্যানার, ফেস্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেগুলিও সরানো হচ্ছে বলে খবর। বিএসএফ সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কথা ভেবে তিনবিঘা করিডরে বিএসএনএলের টেলিফোন সংযোগের জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতা অনেকটা বেড়েছে। ভারত বাংলাদেশের মধ্যবর্তী তিনবিঘা করিডর বরাবরই দুই দেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র এই করিডরের রাস্তা ব্যাবহার করেই বাংলাদেশের দহগ্রামের বাসিন্দারা দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন। অপরদিকে ভারতের কুচলিবাড়ির বাসিন্দারাও করিডরের উপর দিয়ে অপর রাস্তা ব্যবহার করে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত। দু’টি রাস্তাই পরস্পরকে যোগ চিহ্নের মতো অতিক্রম করে গিয়েছে।
২০০৬ সালের ৩ জানুয়ারি তিনবিঘা সফরে আসেন তৎকালিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিবরাজ পাতিল। তার পর ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কার্যকরের আগে ২০১৫-র ৩১ মার্চ সেই সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তিনবিঘা করিডর পরিদর্শন করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy