বিজেপিতে কেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগের হিড়িক? প্রতীকী ছবি।
বিধায়ক তো বটেই। তিনি শিলিগুড়ির বিজেপি সংগঠন দেখার দায়িত্বেও রয়েছেন। সেই শঙ্কর ঘোষই বিজেপির পর্যবেক্ষকদের নিয়ে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন। সোমবার যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর শোরগোল জেলার রাজনৈতিক মহলে। গত কয়েক দিন ধরে বিজেপি নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক চলছে। তাতে যোগ দিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্করও। এ নিয়ে বিধায়কের প্রতিক্রিয়া, ‘অবাঞ্ছিত গ্রুপে থাকার ফলে সমস্যা হচ্ছে।’ এর সঙ্গে রাজনৈতিক মতানৈক্যের কোনও সম্পর্ক নেই। তার পর তাঁর সংযোজন, তিনি হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটিতে বিশ্বাসী নন।
বিধানসভা ভোটের আগে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শঙ্কর। ভোটে তাঁর রাজনৈতিক গুরু অশোক ভট্টাচার্যকে হারিয়ে বিধায়ক হন। সে সময় জেলা ও রাজ্য বিজেপি-র একাধিক হোয়াটসঅ্যাগ গ্রুপে যোগ করা হয় তাঁকে। তার মধ্যে একটি গ্রুপ থেকে ‘লেফট’ করেছেন বিজেপি বিধায়ক। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য বিজেপির অন্দরে চলা অশান্তির প্রেক্ষিতে এই ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে শঙ্করের দাবি, ‘‘আমাদের বহু গ্রুপ তৈরি করে দেওয়া হয়। কর্মসূত্রে আরও কিছু গ্রুপে অ্যাড (যুক্ত) হতে হয়। তবে এমন কিছু অবাঞ্ছিত গ্রুপে থাকার ফলে মূল খবর বা ইনফরমেশন চোখের আড়াল হয়ে যায়। কাজেই সেই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়া (ভাল)। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই। দলের বাকি গ্রুপগুলোতে আমি রয়েছি।" বিজেপি বিধায়ক এও জানিয়েছেন তিনি আগেও বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে কাউকে বার্তা দেওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শঙ্কর কোনও রকম বিতর্কে না গিয়ে সোজা উত্তর দিলেও, রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং নেতা এই মুহূর্তে কলকাতায়। তাঁদের অনেকেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন দল পরিচালনা নিয়ে। সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সম্পাদকের পদ ছেড়েছেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, তিনি বিধায়ক হয়েও দলের নানা বিষয়ে অন্ধকারে রয়েছেন। তাঁকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না তাঁরই দলের নেতাদের একাংশ। আর এ ব্যাপারে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। অন্য দিকে, উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশানা করেছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। অনুপম হাজরাও একই অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েক জন দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা জানাচ্ছেন, শঙ্করের গ্রুপ ছাড়ার কারণও এমনটা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy