আবাসের খুশি। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলার আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে দুর্নীতির অভিযোগ মাথাচাড়া দিয়েছে। শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে জমছে অভিযোগের পাহাড়। এই প্রেক্ষিতে ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করে অভিযোগ করেছিলেন এক বিজেপি নেতা। জানিয়েছিলেন, প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁর নাম ওঠেনি আবাসের তালিকায়। তাতেই কাজ হল। আবাস যোজনার তালিকায় নিজের নাম দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন কোচবিহারের মাথাভাঙা এলাকার বিজেপি মণ্ডল সহ-সভাপতি সুরেন্দ্র বর্মণ। অন্য দিকে, তৃণমূলের দাবি, মমতার সরকার দলমতনির্বিশেষে সকলের উন্নয়নে কাজ করে। বিরোধী দলের নেতাই সেটা প্রমাণ করলেন।
২০১৮ সালের আবাস যোজনার সমীক্ষার ভিত্তিতে যে তালিকা তৈরি হয়েছিল, তাতে সুরেন্দ্রর নামের উল্লেখ ছিল না। নতুন করে সমীক্ষার কাজ শুরু হওয়ার আগেই এ নিয়ে রাজ্য সরকারের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করেছিলেন সুরেন্দ্র। তবে মাস ছয়েক আগে ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করে যে সত্যিই কাজ হবে আশা করেননি ওই বিজেপি নেতা। তাই নতুন বাড়ি পাওয়ার খবরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন তিনি। সুরেন্দ্রর কথায়, ‘‘এর আগে যে তালিকা প্রকাশ হয়, সেখানে আমার নাম ছিল না। তাই মাস ছয়েক আগে ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করেছিলাম। প্রথমে মিস্ড কল হয়। পরে আমার মোবাইলে ফোন আসে। সেখান থেকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় কী কারণে ফোন করেছেন, তখন আমি কারণ বলেছি। আমি জানিয়েছি, যোগ্য হওয়ার পরেও আমার নাম নেই আবাসের তালিকায়।’’
নতুন সমীক্ষার পর তাঁর নাম ওঠায় স্বাভাবিক ভাবে খুশি ওই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ জানানোর পর তালিকায় নাম উঠেছে। সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। বিরোধী দলের নেতা হয়েও সরকারের এই উদ্যোগে আমি খুশি। আমরা চাই, রাজ্য হোক বা কেন্দ্রীয় সরকার, সরকারি সুযোগ-সুবিধা যেন প্রত্যেক যোগ্য ব্যক্তি পান।’’ এ নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিক্রম দত্তের ব্যাখ্যা, প্রথমে যে সার্ভে হয়েছিল, সেখানে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁরও নাম ছিল না। প্রযুক্তিগত কারণে সেই ভুল হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। বিক্রমের কথায়, ‘‘যে বিজেপি নেতার নাম তালিকা এসেছে তিনিও আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার যোগ্য। ‘দিদিকে বলো’য় তিনি ফোন করে বাড়ির আবেদন করেছিলেন এবং তিনি ঘর পেয়েছেন। এতে আমরা খুশি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘শুধু ঘর নয়, ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করে বহু মানুষ বহু সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।’’ অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, মমতার সরকার সার্বিক উন্নয়নে বিশ্বাসী। কোথাও দল দেখে পরিষেবা পাবেন কি না, সেটা নির্ধারণ করা হয় না। পদ্মশিবিরকে কটাক্ষ করে মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘যতই তৃণমূল সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনুক, বিজেপির নেতা-কর্মীরাই আবার সেটা মিথ্যা বলে প্রমাণ করে দেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy