প্রস্তাবিত বিমান। —ফাইল চিত্র।
কোচবিহার-কলকাতা রুটে বড় বিমান চালানোর দাবি জোরাল হচ্ছে। প্রায় দু’বছর ধরে কোচবিহার থেকে কলকাতা রুটে ৯ আসনের বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে। অভিযোগ, যাত্রী চাহিদা বাড়লেও সেখানে বড় বিমান চালান হচ্ছে না। ফলে অনেকেই প্রয়োজনীয় দিনে যাতায়াতের টিকিট পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে ওই রুটে বিমান চালাচলের দায়িত্বে থাকা উড়ান সংস্থার তরফেও অপেক্ষাকৃত বেশি আসনের বিমান চালু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। কোচবিহার বিমান বন্দরের ডিরেক্টর শুভাশিস পাল বলেন, ‘‘বর্তমানে ১৯ আসনের উড়ান চালানোর মতো পরিকাঠামো রয়েছে। রানওয়ের দৈর্ঘ্য আরও বাড়ানো হলে অপেক্ষাকৃত বেশি আসনের বড় বিমান নামতে পারবে।’’
সূত্রের দাবি, ওই রুটে চলাচলের জন্য ১৯ আসনের একটি নতুন বিমান কিনতে চাইছে উড়ান সংস্থাটি। ওই উড়ান সংস্থার হয়ে কোচবিহারের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে রয়েছে একটি সংস্থা। তাদের তরফে প্রসন্ন জৈন বলেন, ‘‘যে সংস্থাটি কোচবিহার-কলকাতা রুটে উড়ান চালাচ্ছে ,তাদেরই ১৯ আসনের নতুন বিমান কেনার কথা রয়েছে। মার্চের আগেই তা হতে পারে। যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিমানটি কেনা হলে মার্চ থেকেই কোচবিহার-কলকাতা রুটে চালাতে অনুরোধ করা হয়েছে। ওই ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’’
‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য একটি সংস্থাও কোচবিহার থেকে বিমান চালাতে আগ্রহের কথা জানিয়ে ইমেল করেছে। সংস্থাটি নতুন বিমান কিনে ব্যবসায় নামতে চাইছে। তাই প্রাথমিক সমীক্ষার ভিত্তিতে তারা কোচবিহার থেকে বিমান চালাতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে। তবে এই ভাবনা একেবারেই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। এই সংস্থাটি কবে, কত আসনের বিমান চালাতে আগ্রহী, সে সব কিছু স্পষ্ট হয়নি। তবে কোচবিহার বিমানবন্দরের বর্তমান যে পরিকাঠামো, তাতে ১৯ আসনের বেশি বড় বিমান চালান সম্ভব নয় সেখান থেকে।
কেন বড় বিমান চালানো সম্ভব নয়? ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার বিমানবন্দরের বর্তমান রানওয়ের দৈর্ঘ্য ১০৬৯ মিটার। রানওয়ের দৈর্ঘ্য আরও অন্তত ৩০০ মিটার না বাড়ানো হলে ওই সংখ্যক আসনের বেশি বড় বিমান চালান সম্ভব নয়। এএআইয়ের কোচবিহারের ডিরেক্টর শুভাশিস পাল বলেন, ‘‘বর্তমানে এই বিমানবন্দরটি থেকে ১৯ আসনের উড়ান চলতে পারবে। রানওয়ে দৈর্ঘ্য বাড়ান হলে আরও বড় বিমান চালান যাবে।’’ এই রানওয়ের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০০ মিটার বাড়ানোর কথা ভাবছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও। যদিও বিমানবন্দর লাগোয়া চত্বরে মরা তোর্সা নদী এবং আশপাশে বড় বড় গাছ থাকার মতো সমস্যা ঘিরে সংশয় রয়েছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কোচবিহার থেকে বেশি আসনের বিমান চালুর দাবিও জানান সাংসদ জগদী চন্দ্র বর্মা বসুনিয়াও। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুরজ ঘোষ বলেন, ‘‘দ্রুত বেশি সংখ্যক আসনের বিমান চালু করা দরকার। এ নিয়ে চিঠিও করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy