পথভোলা: তাণ্ডব চালায় এই বাইসনটিই। নিজস্ব চিত্র
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালাল বাইসন। বাইসনের হানায় জখম হয়েছেন তিনজন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার ভোরে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে বাইসনটি লতাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় তাণ্ডব চালায়। পরে বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাইসনটিকে কাবু করে।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন একটি পুরুষ বাইসন জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে লতাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বনাথপাড়া ও পার্শ্ববর্তী পূর্ব সাতালি গ্রামে ঢুকে পড়ে। ভোর ছ’টা থেকে এলাকা জুড়ে তাণ্ডব চালায় বাইসনটি। বেশ কয়েকটি ঘরও ভেঙে দেয়।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কল্যাণ রাই জানান, খবর পাওয়ার পরে বনকর্মীরা এলাকায় যান। বাইসনটি পিরু টুডু নামে এক ব্যক্তির পেটে আঘাত করে। এনেস হেমব্রম নামে এক যুবকের মাথাতেও আঘাত করে বাইসনটি। দু’জনকেই আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জখম আরও এক মহিলাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাইসনটিকে কাবু করে নিমাতির জঙ্গলে ছাড়া হয়। তার উপর নজর রাখছেন বনকর্মীরা। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন বলেন, ‘‘পিরু টুডুর ফুসফুস ফুটো হয়ে গিয়েছে। দ্রুত চিকিৎসকরা তার অস্ত্রোপচার করেছেন। তবে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।’’
পিরু টুডুর ছেলে আশিস জানান, ভোর ছ’টা নাগাদ বিশ্বনাথপাড়ার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ক্ষেতের কাজে যাচ্ছিলেন তার বাবা। সেই সময় বাড়ির পাশে লুকিয়ে থাকা বাইসনটি আচমকা হামলা করে পেট চিরে দেয় তাঁর। তাঁদের একটি ঘরও ভেঙে দিয়েছে বাইসন। আহত এনেস হেমব্রমের মা লক্ষ্মী হেমব্রম জানান, এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ তাঁর ছেলে বাড়ির পাশে জমিতে গরু বেঁধে ফিরছিল। আচমকা বাইসনটি হামলায় চালায়। এনেসের মাথায় গুরুতর চোট লাগে। কালচিনি পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আব্বাস আনসারি বলেন, ‘‘বাইসনটি প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বেশ কয়েকটি ঘর ভেঙেছে। প্রথমে বাইসনটিকে একটি ভুট্টা খেতে দেখা যায়। বাইসনের খবর শুনে আশপাশের গ্রাম থেকে কয়েকশো বাসিন্দা জড়ো হয়। বনদফতরের পাশাপাশি পুলিশ কর্মীরাও এলাকায় আসেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy