বিনয় তামাং।—ফাইল চিত্র।
অসমের এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা থেকে গোর্খাদের নাম বাদ যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে দার্জিলিং পাহাড়ে। লক্ষাধিক গোর্খার নাম বাদ গিয়েছে বলে টুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একটি অংশের সভাপতি বিনয় তামাংয়ের দাবি, বাদ যাওয়া গোর্খাদের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৩ হাজারেরও বেশি।
শুরুতে নাম বাদ যাওয়ার ঘটনাকে গুজব বলেছিলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। পরে মত বদলে তিনি জানান, বাদ যাওয়া গোর্খাদের সংখ্যা ৭০-৮০ হাজার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায় বিজেপি।
তালিকা থেকে বাদ পড়া গোর্খারা কিভাবে দিন কাটাচ্ছেন, তাঁদের ভবিষ্যত কী হবে, সেই সব বিষয়ে খবর নিতে শুক্রবার অসম গেলেন বিনয়পন্থী মোর্চার ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। বিনয় নিজেই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন।
গোর্খাদের পরিস্থিতি জানতে বৃহস্পতিবার অসম গিয়েছিলেন রাজু বিস্তা ও দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। পরে সাংসদ জানান, বাদ পড়া গোর্খাদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। মোর্চার প্রতিনিধি দলের সদস্য সতীশ পোখরেল জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরে তাঁরা অসমের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী গোর্খাদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সমস্যার কথা শুনবেন। যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে, তাঁদের আইনি পরামর্শ ও সহযোগিতাও করবেন। তবে তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন না।
গোর্খা ছাড়াও নাম বাদ যাওয়া অন্য জনগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গেও কথা বলবেন বলেই জানিয়েছেন সতীশ। বিনয় বলেন, ‘‘আমরা রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অসমে আসিনি। বিপদগ্রস্ত গোর্খাদের পাশে দাঁড়াতেই এসেছি। কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সমস্যার কথা শুনব। পরিস্থিতি বুঝে তারপরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy