ধরপাকড়: বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। ছবি: স্বরূপ সরকার
মঙ্গলবার বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধকে ঘিরে তুফাগঞ্জ মহকুমার একাধিক জায়গায় উত্তেজনা ছড়াল। সকালে মিছিল করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা দোকানপাট বন্ধ করতে গেলে ধলপলে ১৯ জনকে আটক করে পুলিশ। বলরামপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত ও তুফানগঞ্জ ২ ব্লকের বাকলায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেন, “বলরামপুরে বিজেপির কোনও পার্টি অফিস নেই। প্রচারে আসতে বিজেপি নিজেরাই একটি ছাপড়া ঘর ভেঙেছে।’’ তৃণমূল ও বিজেপির মিছিল ঘিরে বলরামপুর চৌপথীতে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ দু’পক্ষকেই হটিয়ে দেয়। বক্সিরহাট থানার শালবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগুরহাটে অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের মিছিলে তিরধনুক ও বল্লম নিয়ে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলা, মোটরবাইক ভাঙচুর করা ও তাতে আগুন ধরানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা সেখানে দোকানেও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপির তুফানগঞ্জ বিধানসভার পর্যবেক্ষক উৎপল দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “তৃণমূল বাইরে থেকে লোক এনে এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছে।“
মাথাভাঙা: মাথাভাঙা ২ ব্লকের পারাডুবিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ১২ জন আহত হন বলে অভিযোগ। তৃণমূল-বিজেপির মিছিল ঘিরে সংঘর্ষ ছড়ায় শীতলখুচির গোঁসাইহাটে। শীতলখুচির ডাকঘোড়ায় একটি অটোতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষ হয় মাথাভাঙা ১ ব্লকের পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চানন মোড়েও। অভিযোগ, সেখানে এক বিজেপি সমর্থকের বাড়ি ও চারটি মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়।
দিনহাটা: বিজেপির ডাকা বন্ধ-এ মিশ্র সাড়া পড়ল দিনহাটায়। মঙ্গলবার, বনধের সমর্থনে মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করে বিজেপি। বামনহাটে ২১ জন বনধ সমর্থনকারীকে গ্রেফতার করে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। বিজেপির দাবি, দিনহাটায় তাদের বন্ধ সফল। দুই তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ ও জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার দাবি, মানুষ এ দিনের বন্ধ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি: এ দিন মেখলিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন জায়গায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। হলদিবাড়ি বাজারেও ওষুধের দোকান বাদ দিয়ে বাকি প্রায় সব দোকান বন্ধ ছিল।
ফালাকাটা: এ দিন সকালে ফালাকাটার ট্রাফিক মোড়ে বন্ধ-এর সমর্থনে বিজেপির মিছিল বেরয়। পুলিশ ১৮ জনকে গ্রেফতার করে। ফালাকাটার পাঁচমাইল বাজারে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে এলাকার দোকানপাট খুলে যায়।
কুমারগ্রাম ও শামুকতলা: এ দিন কুমারগ্রাম এবং শামুকতলা থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি ও তৃণমূল পথে নামে। বারবিশা ও শামুকতলা থেকে ১৪ জন বন্ধ সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিছু জায়গায় দোকান-বাজার আংশিক খোলা থাকলেও, অনেক জায়গায় বন্ধ থাকে। বেশ কিছু বন্ধ দোকান খুলে দেয় তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy