প্রতীকী ছবি।
প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ তো আছেই, ইটভাটার ধোঁয়া থেকেও ক্রমশ দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে বালুরঘাটের চকভৃগু, ডাঙা ও ভাটপাড়া এলাকায়। এ দিকে আবার জমিতে ব্যবহৃত কিটনাশক ও নর্দমার নোংরা, ক্যারিব্যাগ, থার্মোকলের থালা সব বয়ে গিয়ে পড়ছে নদীতে। ফলে, মাত্রাতিরিক্ত দূষণে বিপন্ন দক্ষিণ দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদী। নদীর জলে অক্সিজেন কমে আত্রেয়ীর নিজস্ব নদীয়ালি মাছও এর ফলে হারিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু দূষণ রুখতে পুরসভা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
বালুরঘাট শহর লাগোয়া একদিকে চকভৃগু এলাকায় সদর রাস্তার ধারে ও ডাঙা অঞ্চলের রঘুনাথপুর ফরেস্টে একাধিক ইটভাঁটার কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিনিয়ত। ফলে দূষিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এ ছাড়া, লালমাটি এলাকায় পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলে রাখা নোংরা, হাসপাতালের বর্জ্য, প্লাস্টিক ও আবর্জনা আশপাশ এলাকায় ছড়িয়েও দুষণ ছড়াচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়, শব্দদূষণের অভিযোগও রয়েছে বাসিন্দাদের। তাঁদের বক্তব্য, শহরে তারস্বরে মাইকে বিজ্ঞাপনের প্রচার, উৎসব-অনুষ্ঠানে ডিজের আওয়াজে যে কোনও শহরকে টেক্কা দেবে বালুরঘাট। চলতি মরসুমে তাই পিকনিকের জায়গাগুলিতেও শব্দের তাণ্ডব নিয়ে চিন্তিত পরিবেশ সংস্থাগুলি। তাদের বক্তব্য, শব্দদূষণ রুখতে পুরসভা, পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
অভিযোগ, দূষণ ছড়াচ্ছে বালুরঘাট থেকে বুনিয়াদপুর, হিলি থেকে হরিরামপুর যাওয়ার পূর্ত দফতরের একমাত্র সদর রাস্তার দু’পাশে এবং বালুরঘাট হাসপাতাল চত্বরে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম ঝাড়ের বাড়বাড়ন্তেও শহরে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বন্ধেও পুরসভার তরফে কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পরিবেশপ্রেমী সংস্থাগুলির। তাঁদের অভিযোগ, দূষণ রুখতে পদক্ষেপ করছে না পুরসভা।
বালুরঘাটের বিদায়ী পুরপ্রধান রাজেন শীল বলেন, ‘‘পুরসভা থেকে চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সকলের সহযোগিতা ছাড়া শহরে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ সম্ভব নয়। আর ইটভাঁটা এবং শব্দ দূষণ রোধে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy