সচেতনতা: জলদূতেরা গ্রামের পথে। —নিজস্ব চিত্র।
জলকষ্ট বছর ভরই থাকে। গরমে জলস্তর একেবারে নীচে নেমে যাওয়ায় চাষেও জলের অভাব প্রকট হয়ে ওঠে। তার উপর এলাকায় অসংখ্য সাবমার্সিবল পাম্পের ব্যবহারে ভূগর্ভস্থ জলস্তর হুহু করে নীচে নামছে। সব নিয়ে সমস্যায় জেরবার বাসিন্দারা। তা সত্ত্বেও মালদহের বরিন্দ এলাকা বলে পরিচিত ওই চারটি ব্লকে জল সংরক্ষণের কোনও উদ্যোগই নেই বলে অভিযোগ।
জল সংরক্ষণ ও জলের অপচয় রোধে তাই বৃহস্পতিবার কালিয়াচক ৩ ব্লকের বাবুরবোনা গ্রামে প্রচার চালানো হল। বরিন্দ-সহ জেলার পনেরোটি ব্লকের সাড়ে চারশো গ্রামের বাসিন্দাদের সচেতন করতে নাবার্ডের উদ্যোগে বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে ‘জলই জীবন’ নামে এই প্রচার চালাচ্ছেন ৪০ জন ‘জলদূত’। মালদহের হবিবপুর, বামনগোলা, পুরাতন মালদহ ও গাজোল এই চারটি ব্লক বরিন্দ বলে পরিচিত। এই ব্লকগুলিতে জলের সমস্যা সারা বছরই চলে। রতুয়া ২, কালিয়াচক, চাঁচল ১, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এই ব্লকগুলিতেও পানীয় জলের সঙ্গে সেচের জলের সমস্যা রয়েছে। নাবার্ড জানিয়েছে, জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা যেমন অপ্রতুল তেমন অপচয়ও হচ্ছে নানা ভাবে। এর জেরে আগামী কয়েক বছর পর জলের সমস্যা অন্য জেলার মতো মালদহ জেলাতেও প্রকট হয়ে উঠবে। সে কারণে এখন থেকেই অপচয় বন্ধ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে বৃষ্টির জল ধরে রাখা জরুরি।
এই জল সংরক্ষণ ও জলের অপচয় রোধে সচেতনতায় জোর দিয়েছে নাবার্ড। এই সচেতনতায় প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে জেলার সাড়ে চারশো গ্রামকে। নাবার্ডের মালদহ জেলার ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার অজয়কুমার বৈদ্য বলেন, ‘‘এটা মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। রাজ্যের আর ১০টি জেলার সঙ্গে মালদহ জেলাতেও তা শুরু হয়েছে।’’ আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত নিযুক্ত ৪০ জন জলদূত ওই গ্রামগুলির মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার চালাবেন।
এ দিন দিনভর এমন সচেতনতা প্রচার চালানো হল কালিয়াচক ৩ ব্লকের বাবুরবোনা গ্রামে। স্থানীয় জলদূত হারাধন রজক বলেন, ‘‘বাবুরবোনা গ্রামে পানীয় জলের পাশাপাশি সেচের জলের সমস্যা রয়েছে।’’ এ দিন গ্রামের বাসিন্দারা নিয়ে এলাকায় মিছিল করে জলের গুরুত্ব ও সংরক্ষণের ভাবনা নিয়ে সচেতন করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy