—ফাইল চিত্র।
রাজ্যপাল তথা আচার্যের নির্দেশ মতো ‘সিল’ হচ্ছে না গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘর। মঙ্গলবার, ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ই-মেল করে রজত কিশোর দেকে উপাচার্য পদে অপসারণের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে পদে বহাল রেখে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। ৩১ মার্চ রাজ্যপাল উপাচার্যকে অপসারণের ই মেল করেন। ১ এপ্রিল তাঁকে পদে বহাল রেখে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। ৫ এপ্রিল, শুক্রবার উপাচার্যের ঘর ‘সিল’ করার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল।
এ দিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল রাজ্যের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেওয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘উপাচার্যের ঘরে তালার লাগানোর যে নির্দেশিকা এসেছিল তাতে আমার করণীয় কী, তা জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। দুপুরে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের জরুরি সভা হয়। কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরকে পাঠানো হয়েছে।” গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য ১৫ জন। সে কমিটিতে উপাচার্য ছাড়াও রাজ্যপাল এবং রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের মনোনীত দু’জন করে সদস্য থাকেন। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসিতে রাজ্যপালের মনোনীত দুই সদস্য নেই। কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজ্যপাল মনোনীত সদস্যদের নামের প্রস্তাব এখনও দেননি। ফলে, কমিটিতে ১৩ জন সদস্য রয়েছেন। এ দিনের বৈঠকে ভার্চুয়ালে ১০ জন সদস্য শামিল হন, দাবি কর্তৃপক্ষের। তাঁদের দাবি, উপাচার্যের পদে থাকা, না-থাকা নিয়ে টানাপড়েন যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজকর্মের উপরেও। উপাচার্য না থাকলে গবেষণারত ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি, স্নাতক-স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার যাবতীয় কাজ মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই, জরুরি ভিত্তিতে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বৈঠক করে রজত কিশোর দেকেই উপাচার্য পদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেন, দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তবে, এ দিনও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি রজত কিশোর দে। তাঁকে ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
এক্স হ্যান্ডেলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানাই, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপরে ভরসা রাখার জন্য। রজত কিশোর দেকে উপাচার্য হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার মান্যতা দেওয়ায় ধন্যবাদ।” সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল প্রভাবিত ওয়েবকুপাও। সংগঠনের সহ-সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল বলেন, “ইসির সিদ্ধান্ত স্বাগত।’’ দক্ষিণ মালদহের বিজেপির সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের রাজনীতি মানুষ বুঝতে পারছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy