প্রতীকী চিত্র।
সাইবার অপরাধের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মালদহের চাঁচল থানার পুলিশ। ধৃত মতিউর রহমান অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) দলের মালদহের আহ্বায়ক। চাঁচলেরই ললিয়াবাড়ি সিনিয়র হাই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন তিনি। অভিযোগ, ফেসবুকে একটি পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছেন তিনি। ওই পোস্ট দেখে বুধবার রাতে পুলিশে অভিযোগ জানান চাঁচল-২ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ইমদাদুল হক। তার পর এদিন ভোররাতে চাঁচলের খানপুরের বাড়ি থেকে মতিউরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ দিন আদালতে তোলার পর ধৃতকে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। যদিও আদালতে যাওয়ার সময় তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মতিউর। সংগঠনের জেলা নেতাকে পুলিশ মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করেছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিবৃতি দিয়েছেন দলের জাতীয় মুখপাত্রও। তার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবীও।
চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পিছনে আরও কারা রয়েছেন, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে আইটি অ্যাক্টের ৬৭ ধারা, ও আইপিসি ৫০৫ ও ৫০৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলাদের সম্পর্কে খারাপ মন্তব্যের জন্য ৬৭ ধারা, জনগণের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টার জন্য ৫০৫ ও মহিলাদের বিরুদ্ধে সন্মানহানিকর মন্তব্যের জন্য ৫০৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫০৫ ধারাটি জামিন অযোগ্য।
পুলিশ ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে হায়দরাবাদ কাণ্ডের জেরে ধিক্কার সভা করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়াকে ঘিরে এক পুলিশ অফিসার স্থানীয় মিম নেতাকে ছাপার অযোগ্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ। মিম মেতাকে পুলিশের হুমকি দেওয়ার সেই অডিয়ো ক্লিপিংসটি ভাইরাল হয়। ওই অডিয়ো ক্লিপিংসের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার। ক্লিপিংসটি শেয়ার করে মতিউর তাঁর ফেসবুক দেওয়ালে একটি পোস্ট করেন।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইমদাদুল বলেন, ‘‘নিজের ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে মিমের ওই নেতা ছাপার অযোগ্য ভাষা প্রয়োগ করেন। এক জন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এমন কেউ করতে পারেন ভাবতেই পারছি না। তাই পুলিশকে বিষয়টি জানাই।’’
মতিয়ুর অবশ্য বলেন, ‘‘অডিয়োটি শেয়ার করে পুলিশ কি ভাষায় কথা বলছে সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে আমি কিছু বলিনি। পোস্টের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’’
মতিউরের গ্রেফতারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলের জাতীয় মুখপাত্র তথা এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক সৈয়দ ওয়াসিম ওয়াকার। তিনি বলেন, ‘‘আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল মিম এ রাজ্যে আসুক তা মুখ্যমন্ত্রী চান না।’’
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মোফাক্কেরুল ইসলামও পুলিশকে বিঁধে ফেসবুকে বলেন, ‘‘প্রয়োজনে আমি নিজে কয়েক জন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে চাঁচল আদালতে গিয়ে মতিউরের পাশে দাঁড়াব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy