আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে আয়া নিয়োগ ঘিরে বুধবার রাতে উত্তেজনার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপারের অপসরণের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ কংগ্রেস সমর্থকদের। ছবি: নারায়ন দে।
জেলা হাসপাতালে আয়া রাখা নিয়ে নিষেধাজ্ঞার জেরে, বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ চলল আলিপুরদুয়ারে। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত হাসপাতালে তুমুল উত্তেজনা চলে। এরই মধ্যে এ দিন ফের এক বার কয়েক জন আয়াকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কংগ্রেস নেতৃত্ব একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শয্যা থেকে এক প্রসূতির পড়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ফের আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে আয়াদের কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে নির্দেশ অমান্য করে কয়েক জন আয়া ওয়ার্ডে কাজ করতে গেলে, মঙ্গলবার তাঁদের বার করে দেন কর্তৃপক্ষ। এর পরেই বুধবার কংগ্রেসের নেতৃত্বে আয়াদের একাংশ সুপারের দফতরে তালা ঝুলিয়ে দেন। রাত ৮টা নাগাদ সেই আন্দোলন উঠলেও, কংগ্রেস নেতৃত্ব কয়েক জন আয়াকে ওয়ার্ডে ঢুকিয়ে দেন বলে অভিযোগ। রাত ১০টার পরে সুপার পরিতোষ মণ্ডল সেই আয়াদের ওয়ার্ড থেকে বার করে দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ততক্ষণে কংগ্রেসের নেতারাও হাসপাতালে ছুটে যান। অভিযোগ, দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।
কংগ্রেসের তরফে ওই রাতেই আলিপুরদুয়ার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। দলের জেলা সভাপতি শান্তনু দেবনাথের অভিযোগ, সুপার মত্ত অবস্থায় হাসপাতালে ঢুকে আয়াদের বের করছিলেন। যার প্রতিবাদ করলে, সুপার এবং তাঁর কয়েক জন সঙ্গী তাদের দলের বেশ কয়েক জন নেতা-নেত্রীকে আক্রমণ করেন। তাঁরা জখমও হন। সুপার এক আয়াকে হেনস্থা করেন বলেও অভিযোগ। সুপারের অপসারণের দাবিতে এ দিন দুপুরে শহরের কলেজ হল্টে আয়াদের একাংশকে নিয়ে বিক্ষোভ করে কংগ্রেস। শান্তনুর কথায়, “সাত দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হলে, বড় আন্দোলন হবে।”
তাঁর দফতরে তালা ঝোলানো নিয়ে বুধবার রাতেই আলিপুরদুয়ার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন হাসপাতাল সুপার। বুধবার রাতের ঘটনা নিয়ে এ দিন রাতে থানায় কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শান্তনু-সহ অন্য বেশ কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে ফের একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালে আয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই বুধবার রাতে কয়েক জন আয়াকে ওয়ার্ড থেকে বার করা হয়। সে কারণে কংগ্রেস নেতারা তাঁকে ও হাসপাতালের কয়েক জন কর্মীকে মারধর করেন। হাসপাতাল কর্মীরাই তাঁদের বাঁচান। পরে পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তা দেয়। সুপার বলেন, “অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতারা নিজেদের দোষ ঢাকতে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আমায় বদনাম করার চেষ্টা করছেন।” হাসপাতাল সূত্রের খবর, এ দিনও কয়েক জন আয়া ওয়ার্ডে ঢুকেছিলেন। তবে তাঁদের বার করে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy