মাস্কহীন: চালক থেকে যাত্রী, কারও পরা নেই মাস্ক। কারও মাস্ক থাকলেও তা ঢাকছে না মুখ। শিলিগুড়ির রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র
যখন লকডাউন চলছিল, তখন এ দিক-ও দিক টোটো বেরলেও নজর ছিল পুলিশের। এখন আনলক পর্বে শিলিগুড়ির রাস্তাতে ফের দেখা যাচ্ছে টোটো সমস্যা। এর আগে অনুমতিহীন টোটো রোখার জন্য বারবার নানা পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। কিন্তু আনলক পর্বে শহরের রাস্তায় অসংখ্য টোটো বেরিয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। এমনিতেই শহরের রাস্তায় ভিড় হচ্ছে, বেড়েছে যানবাহনও। এর উপর বেআইনি টোটো বেড়ে চলায় সমস্যা বেড়েছে বলে অভিযোগ। অধিকাংশ টোটোতেই চালক মাস্ক পরছেন না, দূরত্ব-বিধি মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।
শিলিগুড়ি শহরের প্রধান রাস্তাগুলি থেকে বিদায় নেওয়ার কথা ছিল নম্বরহীন টোটোর। নতুন নম্বরপ্লেট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে গত বছর থেকেই। তারপরেও শহরে কমছে না বেআইনি টোটো। করোনা আবহে যা লঙ্ঘন করছে স্বাস্থ্যবিধিও। শহরের রাস্তায় গাদাগাদি করে টোটোতে চাপছেন যাত্রীরা। বেশিরভাগ চালক ও যাত্রীর মুখেই অনেক সময় মাস্ক থাকছে না। থাকলেও তা ঠিকমত পরা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন চিকিৎসকদের একটি অংশ। সম্প্রতি উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে শহরে মাস্ক বিধি কার্যকর করতে পুলিশকে আরও সচেতন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘মাস্ক নিয়ে নজরদারি চলছে। অভিযোগ থাকলে বেআইনি টোটোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
শহরের রাস্তায় বেআইনি টোটো বন্ধ হবে কবে? এ নিয়ে শাসকদলের নেতারা প্রশাসনের দিকেই দায় ঠেলেছেন। আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা সভাপতি অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা অনেক আগেই ঘোষণা করে দিয়েছি, শহরের মূল রাস্তায় নম্বরহীন চলবে না। এই দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।’’ যদিও প্রশাসনের কর্তারা জানাচ্ছেন, টোটোয় নতুন করে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সেই কাজ অনেকটা এগিয়ে আনাও হয়েছে। তা সম্পূর্ণ হলেই বেআইনি টোটোকে রোখা সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
দার্জিলিঙের আঞ্চলিক পরিবহণ কর্তা সোনম লেপচা বলেন, ‘‘শহরের পুরনো টিন নম্বরওয়ালা সব টোটো নতুন রেজিস্ট্রেশন নম্বর পেয়ে গেলে আমরা বুঝতে পারব, শহরে কোন টোটো বেআইনি। তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy