জখম: মালদহ মেডিক্যালে আহত মুসফেরা। নিজস্ব চিত্র
দাম্পত্য কলহ মেটাতে সালিশি সভায় সংঘর্ষে জড়িয়ে জখম হলেন এক মহিলা-সহ তিনজন। এঁদের মধ্যে একজনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং অপর দু’জনকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার রাতে কালিয়াচক থানার সুজাপুরের চামাগ্রামে বসানো হয়েছিল এই সালিশি সভা। কালিয়াচক থানার সুজাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের চামাগ্রামের বাসিন্দা সেলিমের সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে হয় গ্রামের মেয়ে এতেমা বিবির। তাঁদের বছর খানেকের একটি ছেলেও রয়েছে। এতেমা বছর খানেক ধরে তাঁর এক বছরের ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গোলমাল লেগেই থাকত। তবে সেলিম তাঁর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেন বলে দাবি।
এই নিয়েই এ দিন রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ দু’পরিবারের মধ্যে সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। সেই সালিশি সভাতেই এতেমা বিবির দাদা সালেক শেখ, সাদিকুল শেখরা সেলিমের পরিবারের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সেলিমের মা মুসরেফা বিবি, বাবা জুল্লু শেখকেও মারধর করা হয়। পরে প্রতিবেশীরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আহতদের উদ্ধার করে সুজাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মুসরেফা বিবিকে মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করেন। বাকিরা ওই হাসপাতালেই রয়েছেন। সেলিম বলেন, ‘‘আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে চাই। তবে সে থাকতে চায় না। কারণ তাঁর সঙ্গে অন্যের সর্ম্পক রয়েছে। তাই দাদাদের দিয়ে আমাদের উপরে হামলা করে।’’ এতেমা বিবির পরিবারের পাল্টা দাবি সেলিমরাই তাঁদের উপর অত্যাচার করত।
সালিশি সভায় কখনও মহিলার মাথার চুল কেটে নেওয়া হয়েছে। কখনও আবার চোর অপবাদ দিয়ে যুবককে জুতোর মালা পড়ানোর নজির রয়েছে মালদহে। এই সালিশি সভাগুলি নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখেও পড়েছে জেলা প্রশাসন। তারপরেও কেন সালিশি সভা বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন?
সুজাপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূলের এসারুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘‘দু’পরিবার সমাজের কিছু মানুষকে নিয়ে সালিশি সভা করেছিলেন বলে শুনেছি। এখানে গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য কিংবা আমাদের জানানো হয়নি।’’আর মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy