দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ফের টানা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আগামী শীতের মরসুমে দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে থেকে এই আন্দোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মোর্চা নেতৃত্ব। মঙ্গলবার দার্জিলিঙের চৌরাস্তায় মোর্চার প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি-সহ অন্য নেতারা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে ভাল সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেও, রাজ্য সরকারের প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি রোশন। এ দিনের সভায় অবশ্য দলের সভাপতি তথা জিটিএ-র চিফ বিমল গুরুঙ্গ ছিলেন না। দলীয় সূত্রের খবর, গতকাল এক আত্মীয়ের মৃত্যু হওয়ায় এ দিনের সভায় আসতে পারেননি তিনি। গুরুঙ্গের অনুপস্থিতিতে সভায় মূল বক্তা ছিলেন রোশন।
আগামী ১৮ এবং ১৯ ডিসেম্বর দিল্লির যন্তরমন্তরে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ধর্নার কর্মসূচি নিয়েছে মোর্চা। পর দিন তালকোটারা স্টেডিয়ামে জনসভা। প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে সেই কর্মসূচি ঘোষণা করে বাসিন্দাদের তাতে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান মোর্চা নেতারা। এর আগে পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছেও একই আবেদন জানিয়েছিলেন গুরুঙ্গও। রোশনের কথায়, “গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে মোর্চা বরাবরই আন্তরিক এবং একনিষ্ঠ। মনে রাখতে হবে জিটিএ শুধুমাত্র একটি অস্থায়ী বন্দোবস্ত। জিটিএ-র মাধ্যমে পাহাড়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন করলে গোর্খাল্যান্ডের পথ-ই প্রশস্ত হবে।”
গত লোকসভা ভোটের সময়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সহানুভুতির সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে বিজেপির ইস্তেহারে উল্লেখ ছিল বলে জানিয়ে এ দিন রোশন বলেন, “বিজেপি এবং এনডিএ-র সঙ্গে আমাদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। গোর্খাল্যান্ডের দাবি বিভিন্ন নেতাকে জানিয়েছি। আশা করি, তারা সেই দাবি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন।” মোর্চা যে ফের আন্দোলনমূখী তার আভাস মিলল শেষপর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও। যে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে মোর্চার উত্থান, নাটকের মাধ্যমে তা তুলে ধরলেন দলের নেতা কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy