মন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার শিলিগুড়ি অগ্রগামীর।
পুনরুদ্ধার হল হৃত গৌরব। গত বছরের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে সুব্রত কাপ জিতল অগ্রগামী সঙ্ঘ। ফাইনাল ম্যাচে দলের বোলারদের দাপটেই জয় পেল অগ্রগামী। রবিবার ফাইনালে তারা এনএফ রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের দলকে ১৯ রানে হারিয়ে দিয়েছে।
অগ্রগামী সঙ্ঘের ব্যাটসম্যানরা এ দিন বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৪২ রানে খেলা শেষ করে অগ্রগামী। বিপক্ষ এনএফ রেল তখন ১৪৩ রানের টার্গেট তুলে ফেলতে পারবে বলেই ভেবেছিল। তাদের কুমার করণের ভাল ব্যাটিং সেই আশাও জোগাচ্ছিল। কিন্তু বাধ সাধল অগ্রগামীর তিন বোলার। এক জন ইপু সাহা। বাংলার অনূর্ধ্ব ২২ দলে এক সময় খেলেছেন। এখন ইস্টার্ন রেলের হয়ে খেলেন। অপর দুই বোলার রনি মিত্র এবং তন্ময় পরামানিক। তিন জনেই এ দিন ৩টি করে উইকেট নিয়ে ফাইনালে এনএফ রেলের জয়ের পথ আটকে দিয়েছেন। শুরুতে স্পিনার অক্ষয় শর্মাও ৪ ওভার ভাল করেছেন। ইপু এ দিন চার ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন। রনি মিত্র চার ওভারে ১৫ রান দিয়েছেন। ৩ টি ম্যাচে টুর্নামেন্টে ৯ টি উইকেট নিয়ে তিনিই প্রতিযোগিতার সেরা বোলার হয়েছেন। অপর জন তন্ময়। চার ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন এ দিন। তবে ম্যাচের শেষে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়ে খুশি তন্ময়। ব্যাটিং এবং বোলিং পারফরম্যান্স বিচার করেই এ দিন তাঁকে ম্যান অব দ্যা ম্যাচের সম্মান দেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
অগ্রগামীর তিন বোলারের দাপটের মধ্যেও এনএফ রেলকে আশার আলো দেখাচ্ছিলেন কুমার করণ। তাঁর ২৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস এনএফ রেলের ক্রিকেটারদের মধ্যে আশা জুগিয়েছিল। তবে দিনের শেষে কুমারের ওই লড়াই তাঁদের মুখে শেষ হাসি ফোটাতে পারেনি। টুর্নামেন্টে সব চেয়ে বেশি ওভার বাউন্টারির মেরেছেন তিনিই। এ দিন ফাইনালে তিনিই সেরা ব্যাটসম্যান। অন্য দিকে অগ্রগামীর দেবপ্রিয় ঘোষ এ দিন ২৯ বলে ৩৫ রান করেছেন। ২৫ বলে ৩২ রান করেছেন তাদের ক্রিকেটার তনুজিৎ আচার্য। অগ্রগামীর বিরুদ্ধে এ দিন ৩ টি উইকেট নিয়েছেন এনএফ রেলের মহম্মদ সাকিল।
উদ্যোক্তারাই জানিয়েছেন, গত ১৮ বছর ধরে সুব্রত কাপের আয়োজন করে আসছে সুব্রত সঙ্ঘ ক্লাব। আর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন উৎসবের অঙ্গ হিসাবে ২০১১ সাল থেকে এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হচ্ছে। মাঠের পরিকাঠামো আরও উন্নত হলে খেলায় আরও জৌলুস আসবে বলে ক্রীড়া সংগঠকদের অনেকেই মনে করেন। পিচের পরিস্থিতি ভাল নয় বলে ম্যাট পেতেই খেলা হয়েছে। এ বছর ৮ টি দল যোগ য়েছে নক আউট পর্বের এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টে। চারটি করে দল দুটি গ্রুপে ভাগ করে খেলা হয়। দু’টি গ্রুপ থেকে একটি করে দল ওঠে ফাইনালে।
অসুস্থতার পর শহরে ফিরে এ দিন সুব্রকাপ ক্রিকেটের পুরস্কার বিলির অনুষ্ঠানে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁর কাছ থেকে অগ্রগামীর ক্রিকেটাররা মন্টু ভট্টাচার্য চ্যাম্পিয়ন ট্রফি যখন হাতে নেন তখন উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন দলের ক্রিকেটার, সমর্থকেরা। জিতেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী স্মৃতি রানার্স ট্রফি পায় এনএফ রেলওয়ে। ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছে জলপাইগুড়ির বর্ধন
প্রাঙ্গণ ক্লাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy