সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের প্রথমার্ধেই শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচন হবে। সে কথা মাথায় রেখে নতুন বছরে রামঘাট কাণ্ডকে হাতিয়ার করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট।
ফ্রন্টের নেতাদের দাবি, রামঘাট আন্দোলনের প্রভাব ইতিমধ্যে এলাকার লাগোয়া ওয়ার্ডগুলিতে পড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন স্তরের মানুষ প্রতিবাদ মঞ্চ, মিছিল-সহ নানা কর্মসূচিতে সামিলও হচ্ছেন। সম্প্রতি এলাকা সামসিয়া মাদ্রাসা’র পরিচালন সমিতির নির্বাচনে বামেদের ভাল ফল হয়েছে। এতে ফ্রন্টের নেতাদের আশা আরও বেড়েছে। যেটি পুর এলাকার একমাত্র মাদ্রাসা।
বছর শেষের দিন গত বুধবার গোটা শহর যখন উত্সবে ব্যস্ত, সেই সময় জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে রামঘাট নিয়ে বর্ধমান রোড এলাকায় মিছিলও করা হয়। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর গৌতম দেবে’র নির্দেশে রামঘাটে যা হয়েছে তার প্রতিবাদের ভাষা নেই। লাগোয়া ওয়ার্ডের মানুষও আমাদের আন্দোলনে আসে ছন।”
গত বুধবারের মিছিলে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও ৪, ৬, ৭ নম্বরের বহু মানুষ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন বলে অশোকবাবুর দাবি। ফ্রন্টের নেতারা জানান, শিলিগুড়ি আদালতে আইনজীবীরা কর্মবিরতি করছেন। আগামী ৬ জানুয়ারি মামলা’র পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিন ধৃতেরা নিজেদের হয়েই আদালতে সওয়াল করবেন। নতুন বছরের গোড়াতেই মিছিল, সভা’র মত একগুচ্ছ কর্মসূচিও নেওয়া হচ্ছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রামঘাটে চুল্লির শিলান্যাস অনুষ্ঠানে গোলমাল হয়। বাসিন্দারা প্রকল্পের বিরোধিতা করে সরব হন। আলোচনার জন্য ডেকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী মহানন্দা মণ্ডল নামের এক বাসিন্দাকে চড়, লাথি মারেন বলে অভিযোগ। মহানন্দাবাবু, কংগ্রেস নেতা রাজেশ যাদব-সহ আরও একাধিক বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, মন্ত্রীকে হেনস্থার পাল্টা মামলা দায়ের হয়। তারা গ্রেফতারের পর জামিনে ছাড়াও পান। বাসিন্দাদের আন্দোলনে সামিল হন সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক ও কংগ্রেস নেতারাও।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর আপাতত কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন রামঘাট প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী শুধু বলেছেন, “আমরা ওই কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছি। তা ছাড়া পুরো বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। কোনও মন্তব্য করব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy