প্রথম দফার দাগ এখনও মেলায়নি। পুনর্নির্বাচনে হ ফের আঙুলে দাগ। ধূপগুড়িতে। ছবি: রাজকুমার মোদক।
উত্তরবঙ্গের দু’টি বুথে পুনর্নির্বাচন মিটল শান্তিতেই। সোমবার শিলিগুড়ি ও ধূপগুড়ির দু’টি বুথে ভোট হয়। ইভিএম মেশিনে গোলযোগের কারণে এ দিন শিলিগুড়ির প্রধাননগরের বাঘাযতীন কলোনির একটি বুথে সোমবার ফের ভোট হয়। এটি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের ২৬/২৯ নম্বর বুথ। বাঘাযতীন কলোনির বিদ্যাসাগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ দিন ভোটগ্রহণ হয় শান্তিপূর্ণভাবেই। এই বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ১,০২৭ জন। এ দিন ৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৮ শতাংশ ভোট কম পড়েছে বলেও জানানো হয়েছে। আগের দিন ভোট পড়েছিল মোট ৮২০টি। এ দিন ভোট পড়ে ৭৪৫টি।
দার্জিলিংয়ের নির্বাচনী রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসক পুনীত যাদব বলেন, “ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই এই বুথে ফের ভোট গ্রহণ করতে হল।” কংগ্রেস, তৃণমূল ও সিপিএমের পক্ষ থেকে পুনর্গণনা করার দাবি জানিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে রাজনৈতিক দলগুলি দাবি করেছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ১৭ এপ্রিল বিদ্যাসাগর প্রাথমিক বিদ্যালয় বুুথে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর ১২ টা নাগাদ প্রথম ধরা পড়ে ইভিএমে গোলমাল রয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসার ইভিএম পরীক্ষা করে দেখেন মেশিনে, প্রার্থীর নামের পাশের বোতামে চাপ দিলেও আলো জ্বলছে না। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর অন্য মেশিন নিয়ে এসে ৪৫ মিনিট পর ফের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ইভিএম মেশিন বদলাবার আগে পর্যন্ত ৩৫০ জন ভোট দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর ভোট শেষে মিলিয়ে নেওয়ার সময় ২১ টি ভোটের হিসেব মেলেনি। ৮২৫ জনের নাম ভোটদাতার তালিকায় থাকলেও ৮২১টি ভোট পড়েছে বলে দেখা যায়। শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক দীপাপ প্রিয়া বলেন, “চূড়ান্ত স্ক্রুটিনির সময় ভুল ধরা পড়ে। ফলে ভোট পুনর্গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে পুনর্গণনার দাবি জানানো হয়। ১৯ এপ্রিল জেলাশাসক এই বুথটিতে ফের ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানান। ভোট কমলেও তৃণমূল ও সিপিএম দু’দলেরই দাবি তাঁরাই এই বুথ থেকে প্রায় ২০০ ভোটে এগিয়ে থাকবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জয়ন্ত কর বলেন, “সিপিএমের চেয়ে এই বুথে আমরাই এগিয়ে। মানুষ এখন আর সিপিএমকে চাইছেন না।” সিপিএমের পক্ষ থেকেও ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত মুকুল সেনগুপ্ত এখানে এগিয়ে থাকার ব্যপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, “এই এলাকার মানুষ বরাবরই আমাদের ভোট দেন। সুতরাং এবারও প্রায় ২০০ ভোটে আমরা এগিয়ে থাকব।” এ দিন ধূপগুড়ি শহরের ডাকবাংলো এলাকায় জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১৫/১৯৫ নম্বর বুথেও পুনর্নির্বাচন হয়। এই বুথে এ দিন ৮২ শতাংশ ভোট পড়েছে। ১৭ এপ্রিল এই বুথে ভোটদানের সময়ে ইভিএমে শব্দ হলেও ভোট শেষে মিলিয়ে নেওয়ার সময় দেখা যায় একটিও ভোট পড়েনি। ধূপগুড়ির বিডিও সৌমেন্দ্র দূতরাজ বলেন, “ভোটযন্ত্রে গোলমালের কারণেই আবার ভোট হল। নির্বিঘ্নেই ভোট হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy