সোমবার সকালেই ইটাহারের পাড়াহরিপুরের কাছে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্তও শুরু করেছিল তারা। তার এক দিন পরেই, মঙ্গলবার ছাত্রীর বাবা-মা দাবি করলেন, তাঁদের মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা লিখতে জানেন না বলে অভিযোগপত্রে তাঁদের দিয়ে পুলিশ একটি টিপসই করিয়ে নিয়েছিল। পরে জানতে পারেন, সেই অভিযোগপত্রে লেখা রয়েছে, মায়ের বকুনির জেরে আত্মহত্যা করেছে মেয়েটি। যদিও পুলিশের দাবি, অভিযোগপত্র তাঁদেরকে শুনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আত্মহত্যার প্ররোচনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ না পেলে তাঁদের পক্ষে পদক্ষেপ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা।
পুলিশ ও রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই কিশোরীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার গলায় ফাঁসের দাগও মিলেছে। তবে ধর্ষণ ও মারধরের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
এ দিন সকালে মৃতা ওই কিশোরীর বাবা-মা দাবি করেন, কিশোরী রবিবার রাত দেড়টা নাগাদই প্রতিবেশী এক যুবকের বাড়িতে চলে গিয়েছিল। যুবকের মা কিশোরীকে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে চাইলেও লোকলজ্জার ভয়ে কিশোরীর মা তাকে ফেরাতে চাননি। পরের দিন প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি জানিয়ে দেন যুবকের মাকে। কিশোরীর মায়ের বক্তব্য, “অবিবাহিত কোনও মেয়ে কোনও যুবকের বাড়িতে চলে গেলে এভাবে ফিরিয়ে নেওয়া যায় না।” তাঁর অভিযোগ, এর পরেই ওই যুবকের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়। যদিও যুবকের পরিবার আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিন মৃতার বাড়িতে যান জেলা শিশুকল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন তথা তৃণমূল নেতা সুনীলকুমার ভৌমিক। ছাত্রীর বাবা-মায়ের কাছ থেকে সব জেনে সুনীলবাবু সেখান থেকেই জেলা পুলিশ সুপারকে ফোন করে জানান। সুনীলবাবু জানিয়েঠে, এই পরিস্থিতিতে সমিতির ভূমিকা ঠিক করতে আজ, বুধবার বৈঠক ডাকা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy