বাঘাযতীন পার্কের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
চলতি মাসের শুরুতেই বাঘা যতীন পার্কের মাঠে সভা করে বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতারা দাবি করেছিলেন, রাজ্যে ‘পরিবর্তনে’র শুরু হবে শিলিগুড়ি পুরভোট থেকেই। বিজেপির সভার ১২ দিন পরে একই মাঠ থেকে পুরভোটের প্রচার শুরু করল শাসক তৃণমূলও। বাঘাযতীন পার্কেই শুক্রবার সভা করে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, “কলকাতায় ফিরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশ্বস্ত করে বলব, শিলিগুড়ি পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদের ভোট জেতা তৃণমূলের শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
গত ৭ নভেম্বর বাঘা যতীন পার্কে বিজেপির সভায় তৃণমূলের বেশ কিছু যুব নেতা কর্মী দলে যোগ দিয়েছিলেন। সে প্রসঙ্গ তুলে এ দিন অভিষেক দাবি করেন, যাঁরা ধান্দাবাজ, তাঁরা ভোটের টিকিটের জন্য দলে এসেছিলেন, তারাই দল থেকে চলে গিয়েছে। সেদিন বিজেপির সভার ভিড়ের সঙ্গে এ দিনের ভিড়ের তুলনাও টেনেছেন সাংসদ অভিষেক। তাঁর দাবি, এ দিন কয়েকগুণ বেশি ভিড় হয়েছিল। ভিড় বেশি হওয়ায়ই শিলিগুড়ি পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদের ভোটে তৃণমূলের ‘সাফল্যের’ কারণ বলে সাংসেদর দাবি। আগামী মাসেও ফের তিনি শিলিগুড়িতে আসবেন বলে বক্তৃতায় জানিয়েছেন। তৃণমূল সূত্রের খবর শিলিগুড়ির পুরসভা ভোটের পরিচালনার দায়িত্ব দলের তরফে সাংসদ অভিষেককে দেওয়া হতে পারে। তারই প্রস্তুতি শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো।
এ দিন ২৮ মিনিটের বক্তৃতায় অভিষেক আগাগোড়াই বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। অভিষেকের সঙ্গে এ দিনের সভায় এসেছিলেন সাংসদ ডেরেকও ব্রায়েনও। ডেরেকও বক্তৃতার সিংহভাগ জুড়েও ছিল বিজেপির সমালোচনা। তিনি বলেন, “শিলিগুড়ি শহরে ঢুকে দেখলাম, হোর্ডিঙে নম্বর লিখে মিসড্ কল দিয়ে বিজেপির সদস্য হওয়ার প্রচার চালানো হচ্ছে। এ ভাবে কোনও দলের শক্তি বাড়তে পারে না। শিলিগুড়ির বাসিন্দারা সেটি আগামী পুরভোটেই প্রমাণ করবেন।”
জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং মাথাভাভাঙায় সভা করার পরে এ দিন শিলিগুড়িতে সভা করেন অভিষেক। আগামী বছরের গোড়াতেই শিলিগুড়িতে পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে জেলা তৃণমূলের ব্যানারেই এ দিন সভা হয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী এ দিনের সভায়, শিলিগুড়ি পুরসভায় প্রশাসক বসার পরে কী উন্নয়নের কাজ হয়েছে, মহকুমা পরিষদের বিভিন্ন এলাকায় রাজ্য সরকারের তরফে কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তার বিবরণ দেন। শিলিগুড়ি কার্নিভালের প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। শিলিগুড়ির রামঘাট শ্মশানে বৈদুতিক চুল্লি বসানো প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা একজোট হয়ে শিলিগুড়ির উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিতে চাইছেন। শিলিগুড়ি বাসিন্দারা সেটা আগামী দিনে রুখে দেবে। উন্নয়নের স্বার্থে সকলেই পুরভোট এবং মহকুমা পরিষদের ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে থাকবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy