Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

ম্যাথুর মোবাইল গেল মার্কিন সংস্থায়

ওই সংস্থার তৈরি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই নারদ নিউজের প্রাক্তন কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে নারদ স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০২:৪১
Share: Save:

নারদ-কাণ্ডের ভিডিয়ো ফুটেজ উদ্ধার করতে মার্কিন ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থার দ্বারস্থ হতে হয়েছে বলে শুক্রবার আদালতে জানাল সিবিআই। ওই সংস্থার তৈরি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই নারদ নিউজের প্রাক্তন কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে নারদ স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন।

সিবিআইয়ের আইনজীবী অমোজিৎ দে এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর আদালতে জানান, ম্যাথুর ব্যবহৃত মোবাইল কয়েক মাস আগে মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থায় পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ফুটেজ উদ্ধার করা গিয়েছে কি না, ওই মার্কিন সংস্থা এখনও তা তদন্তকারীদের জানায়নি।

নারদ কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে সিবিআই এফআইআর করেছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, নারদ কাণ্ডে ওই সাংসদকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। সিবিআইয়ের এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে বিচারপতি বাগচীর আদালতে মামলা করেছেন ওই সাংসদ।

সেই মামলার শুনানিতে বেশ কয়েক মাস আগে বিচারপতি বাগচী সিবিআই-কে নির্দেশ দেন, সাংসদের বিরুদ্ধে তারা যে-তদন্ত করছে, তার কতটা কী অগ্রগতি হল, সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। সেই নির্দেশের তিন মাস পরে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি অমোজিৎবাবু এ দিন একটি রিপোর্ট পেশ করেন। তিনি জানান, তদন্ত শেষ করতে আরও সময় লাগবে। আদালত আরও তিন মাস সময় দিক সিবিআই-কে। রিপোর্ট খুঁটিয়ে পড়ে বিচারপতি বাগচী জানিয়ে দেন, সময় চাওয়ার আবেদন রিপোর্টে নেই। তিন মাস সময় দেওয়া যাবে না। ছ’সপ্তাহ পরে ফের তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করতে হবে।

অপরূপার আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতের বাইরে জানান, সিবিআই ওই রিপোর্টের একটি ফোটোকপি তাঁদের দিয়েছে। তাতে সিবিআই জানিয়েছে, মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে কেবল ওই ফোন পাঠালেই হবে না। ভারত ও আমেরিকার চুক্তি অনুযায়ী যথাযথ ভাবে আবেদন জানাতে হবে মার্কিন ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE