Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
Bhimpur

নদিয়ার নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়নি! ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে দাবি পুলিশের

নদিয়ার ভীমপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে শুরু থেকে দাবি করে আসছিল মৃতার পরিবার। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও উল্লেখ নেই বলেই দাবি করল পুলিশ!

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ২১:১২
Share: Save:

নদিয়ার ভীমপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে শুরু থেকে দাবি করে আসছিল মৃতার পরিবার। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও উল্লেখ নেই বলেই দাবি করল পুলিশ!

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে নাবালিকার মৃত্যুর কারণ হিসাবে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের উল্লেখ রয়েছে। তবে জোর করে শারীরিক সম্পর্কের কোনও উল্লেখ নেই। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘সোমবার ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে আসতে পারে। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব হবে।’’

যদিও পুলিশের দাবিকে ‘মান্যতা’ দিতে নারাজ নাবালিকার পরিবার। নাবালিকার বাবা বলেন, ‘‘আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, মেয়েকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। জানি না ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কী আছে। তবে আমাদের স্থির বিশ্বাস, আমাদের অভিযোগ তদন্তে সঠিক প্রমাণিত হবে।’’

চার দিন নিখোঁজ থাকার পর গত সপ্তাহে ভীমপুরের নবম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল খালপাড় থেকে। নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নেমে তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই খালপাড়ে মাটি খুঁড়ে ১৭ বছরের মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়। পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। বুধবার রাতে তার প্রাথমিক রিপোর্ট এসে পৌঁছয় পুলিশের হাতে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতা এবং ধৃতের বাড়ি ভীমপুর থানা এলাকাতেই। পেশায় রাজমিস্ত্রি বছর চব্বিশের যুবকের সঙ্গে ১৭ বছরের মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নাবালিকার পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, চলতি মাসের ২১ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল মেয়ে। পুলিশ নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর মেয়েটির প্রেমিকের খোঁজ পান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই যুবককে আটক করে পুলিশ। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সেই যুবক প্রেমিকার দেহের খোঁজ দেয়। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, প্রেমিকাকে খুনের কথাও স্বীকার করে নিয়েছিলেন অভিযুক্ত।

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, সম্প্রতি প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল ওই নাবালিকা। কিন্তু এখনই বিয়ে করতে রাজি হননি যুবক। অন্য দিকে, পরিবারের দাবি, প্রেমিককে মেয়েটি জানিয়েছিল সে অন্তঃসত্ত্বা। তখন তাকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দেন প্রেমিক। কিন্তু অনাগত সন্তান নষ্ট করতে রাজি হয়নি ১৭ বছরের নাবালিকা। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে মন কষাকষি চলছিল। তার জেরেই খুন বলে ধৃত জেরায় জানিয়েছেন— এমনটাই দাবি পুলিশের একটি সূত্রের।

অন্য বিষয়গুলি:

Bhimpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy