Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

স্ত্রীকে ফিরে পেতে ধর্নায়

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁদের পরিচয়। রিঙ্কি আসাননগর মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

ধর্নায় যুবক। নিজস্ব চিত্র

ধর্নায় যুবক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৪৮
Share: Save:

তাঁর স্ত্রী-কে তাঁর কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে, এই দাবিতে এক তরুণীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তাঁকে সেখান থেকে ওঠানো যায়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ভীমপুরের কুলগাছি এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত বিশ্বাস নামে ওই যুবকের দাবি, দস্তুরমতো রেজিস্ট্রি করে গত ৭ জানুয়ারি তাঁর সঙ্গে ওই এলাকারই তরুণী রিঙ্কি-র বিয়ে হয়েছে। কিন্তু তরুণীর বাড়ির লোক তাঁকে জোর করে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছেন না। কোনও ভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না। অবিলম্বে স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে তাঁর ছবি ও রেজিস্ট্রির কাগজ হাতে এ দিন সকাল থেকে তিনি রিঙ্কিদের বাড়ির দরজায় বসে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ভীমপুর থানার পুলিশ। কিন্তু তাঁরাও অনেক বুঝিয়ে যুবককে ওঠাতে পারেনি। রাতের খবর, তরুণীর বাড়ির লোকের সঙ্গে লাগাতার আলোচনা করে সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে তরুণীর পরিবারের দাবি, ওই বেকার যুবক জোর করে ভয় দেখিয়ে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁদের পরিচয়। রিঙ্কি আসাননগর মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আর জয়ন্ত এই মুহূর্তে কোনও কাজ করেন না। তাঁর দাবি, ‘‘রিঙ্কিই আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগরের কাছে নৃসিংহদেবতলা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করি। কিন্তু রিঙ্কি বাড়িতে কিছু জানায়নি। আমি আমার বাড়িতে বলি। বিয়েতে আমার বাবা, কাকা ও বন্ধুরা ছিলেন। তার পর ৭ জানুয়ারি আমরা কল্যাণীতে রেজিস্ট্রি করি। তখনও রিঙ্কি ভয়ে বাড়িতে জানায়নি।”

জয়ন্তর কথায়, “সপ্তমীর দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রিঙ্কি আমাকে ডেকে পাঠায় ওর মা-র সঙ্গে কথা বলার জন্য। কিন্তু আমি যাওয়ার পর আমার সঙ্গে কেউ কথা বলতে চাননি। তার পর থেকে আমি রিঙ্কির সঙ্গে কোনও ভাবে যোগযোগ করতে পারছি না। আমি আমার স্ত্রী-কে ফিরে পেতে চাই।” রিঙ্কির বাবা চৈতন্য সরকার অবশ্য দাবি করেন, “আমরা এই বিয়ে মানি না। মেয়ে আমাদের জানিয়েছে যে, ওকে খুন করার ভয় দেখিয়ে ছেলেটি বিয়ে করতে বাধ্য করেছে।” জয়ন্ত অবশ্য অনড়। রিঙ্কির বাড়ির সামনে বসেই তিনি পুলিশকে বলেন, “যত ক্ষণ না আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পাচ্ছি তত ক্ষণ নড়ছি না।”

অন্য বিষয়গুলি:

Youth Dharna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy