এমনই হাল ভালুকার আনন্দবাসের রাস্তা। ছবি: প্রণব দেবনাথ
সোমবার, কাঁটায় কাঁটায় ভোর পাঁচটা। তিন মাস বন্ধ থাকার পর খুলে গেল নবদ্বীপের মহাপ্রভু মন্দিরের দরজা। অপেক্ষমাণ ভক্তেরা তাড়াতাড়ি ঢুকতে গিয়েই বাধা পেলেন। দরজায় সিভিক ভলান্টিয়ার। পুরুষ এবং মহিলাদের দু’টি আলাদা লাইন করে একে একে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি মিলল। জুতো বাইরে খুলে ভিতরে ঢুকে থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষার পর, পা ধুয়ে, হাতে স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করে তবে অনুমতি পাওয়া গেল গর্ভগৃহের সামনে যাওয়ার। দীর্ঘ অদর্শনের পর ভক্তদের সামনে এলেন ধামেশ্বর মহাপ্রভু।
২৩ মার্চ শেষ বারের মতো বন্ধ হয়েছিল তাঁর মন্দির। ২৩ জুন রথযাত্রার দিন ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হল চৈতন্যধামের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ মহাপ্রভু মন্দিরের দরজা। নতুন ভাবে মন্দির খোলার পর বদলে গিয়েছে অনেক প্রচলিত নিয়ম। মন্দির পরিচালন সমিতির সম্পাদক জয়ন্ত গোস্বামী বলেন, “বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী সেবিত এই ধামেশ্বরের আকর্ষণ বলার অপেক্ষা রাখে না। মহাপ্রভুর দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হল। তবে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে এখন মন্দিরের প্রবেশ করতে হবে।”
আগেই বলা হয়েছিল, মন্দিরের ভিতরে বসা, মালা গাঁথা, দল বেঁধে কীর্তন করা যাবে না। ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করবেন, মহাপ্রভুকে দর্শন করে অন্য পথ দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। মালা এবং মিষ্টি মহাপ্রভুকে ভক্তরা দিতে পারবেন সেবায়েতদের মাধ্যমে। মন্দিরে বসে ভোগের প্রসাদ পাওয়ার কোনও ব্যবস্থা আপাতত থাকছে না। দীর্ঘ দিন পর মহাপ্রভু মন্দির খোলা হচ্ছে, তাই নবদ্বীপ পুরসভার তরফে গোটা মন্দির স্যানিটাইজ়ড করে দেওয়া হয়। এ দিন বিশেষ ভাবে সাজানো হয় ওই মন্দির। এ দিন ভক্তদের কথা ভেবে নির্ধারিত সময়ে অনেক আগেই মন্দির খোলা হয়। ভোর পৌনে ছ’টায় শুরু হয়ে যায় মঙ্গলারতি। বহু দিন পরে মহাপ্রভুকে দেখে ভক্তরাও খুশি। ভক্তদের আনা মালায় ঢাকা পড়ে যায় দেবতার মুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy