চলছে বিক্ষোভ।তেহট্টে। নিজস্ব চিত্র
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছোট্ট শিশুদের জন্য রান্না হয়েছে খিচুড়ি, তাতে থিকথিক করছে পোকা!
শুক্রবার এই বিষয়টি জানাজানির পরেই ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তেহট্ট নাটনা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির নাটনা অঞ্চলের গোপালপুর গ্রামে ৫৫ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা কিছু ক্ষণের জন্য কেন্দ্রে তালাও লাগিয়ে দেন। তেহট্টের যুগ্ম বিডিও বিধান চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। খুবই খারাপ হয়েছে। আমি নিজেই বিষয়টি দেখে এর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’’
অভিভাবকদের অভিযোগ, খাবারে পোকা এই প্রথম নয়, অতীতেও একাধিক বার শিশুদের খাবারে পোকা পাওয়া গিয়েছিল। কোনও ভাবে ভুল হয়ে গিয়েছে বলে তাঁরা চুপ করে ছিলেন, কিছু বলেননি। কিন্তু পরের পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী বীথি গোস্বামী অসুস্থতার জন্য এক মাস ছুটিতে আছেন। তাঁর জায়গায় মিলি হালদার নামে এক জন রান্না করছেন। শুক্রবার তিনিই বাঁধেন খিচুড়ি। কিন্তু অভিযোগ, তাতে ভেসে বেড়াচ্ছিল পোকা। ধনঞ্জয় ঘোষ নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘এক মাস ধরে দেখছি, খাবারে প্রায়ই পোকা থাকে। আজ আবার খিচুড়িতে পোকা দেখে মাথা গরম হয়ে যায়। এর আগে পোকাভরা খাবার খেয়ে আমার বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যায়। তাও কিছু বলিনি। কিন্তু রোজ রোজ এই অন্যায় সহ্য করা যায় না। তাই আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি। কেন্দ্রে যেখানে চালডাল থাকে সেখানে গিয়ে দেখি, বস্তার মধ্যে মাকড়সা ঘুরে বেড়াচ্ছে !’’
অঙ্গনা ঘোষ নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘এই কেন্দ্রে খাবারে প্রায়ই পোকা দেখতে পাওয়া যায়। দিদিমণিরা কি দেখতে পান না?’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘‘ অনেক দিনই খিচুড়ি হয় না। বাচ্চাদের হাতে শুধু একটা কলা ধরিয়ে দেওয়া হয়।’’
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রাঁধুনী মিলি হালদারের কথায়, ‘‘দিদিমণি আমাকে যে চাল-ডাল দিয়ে গিয়েছেন তা দিয়েই রোজ রান্না করি। আজ রান্না চাপিয়ে আনাজ কিনতে গিয়েছিলাম। হয়তো তখনই পোকা পড়ে থাকতে পারে। আমি সঠিকভাবেই বাচ্চাদের জন্য রান্না করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy