জোর করে অ্যাসিড খাইয়ে এক মহিলাকে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদের গোয়ালজান-নিয়াল্লিশপাড়া পঞ্চায়েতের নিয়াল্লিশপাড়ার ঘটনা। রাতেই তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানাজানি হতে রবিবার রাতে স্থানীয়েরা অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরিবারের সদস্যদের মারধরও করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে তার আগেই সকলেই পালিয়ে যায়। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কোথা থেকে অ্যাসিড এল তার খোঁজ চলছে।
ওই মহিলার জেঠিমা মায়ারানি নাথ জানান, রবিবার বহরমপুর থানায় শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাসুর এবং দুই ননদ ও তাঁদের স্বামীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বহরমপুর থানার আইসি শৈলেনকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘কেউ গ্রেফতার হয়নি। সকলেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
পিয়ালির পরিবারের অভিযোগ, অতিরিক্ত পণের জন্য পিয়ালির উপরে প্রায়ই চাপ দিত অভিযুক্তেরা। পিয়ালির মা ও ভাই মারা যাওয়ার পরে তাঁর বাবার কাছ থেকে পৈতৃক বাড়ি নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু পিয়ালি তাতে রাজি হননি। তাই জেরে গলায় অ্যাসিড ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ।
পিয়ালির ওই জেঠিমা বলেন, ‘‘শ্বশুরবাড়ির ও বাবার বাড়ি পাশাপাশি। কিন্তু ওই রাতের ঘটনা আমরা কিছু জানতে পারিনি। পরে হাসপাতালে গিয়ে পিয়ালির কাছ থেকে জেনেছি।’’ তাঁর দাবি, শনিবার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যরা সকলে মিলে জোর করে মুখের মধ্যে অ্যাসিড ঢেলে দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তখন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তির বন্দোবস্ত করে তারা।’’ পুলিশের কাছেও যে জবানবন্দি দিয়েছে, তাতে অ্যাসিড খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন পিয়ালি। সুরজিৎ ও পিয়ালির আড়াই বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। পিয়ালির পরিবার তাকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে এলে রাখার কথা বললে শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাজি হয়নি।
বিষয়টি জানার পরেই রবিবার রাতে পাড়া-প্রতিবেশী একজোট হয়ে ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং পরিবারের সদস্যদের মারধরও
করে। তার পরেই সকলেই বাড়ি ছেড়ে পালায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy