ধৃতকে আদালতে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
ভাইপোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার অভিযোগে ঘটনার ছ’দিন পর গ্রেফতার হল কাকা।
মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সালার থানার পুলিশ। তারা জানায়, ধৃত আনন্দগোপাল গুঁইকে বুধবার কান্দি আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ ডিসেম্বর সালার থানার শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শিরপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিবাদে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভাইপো কপিল গুঁইকে (২১) খুন করে আনন্দগোপাল। কপিল এবং আনন্দের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। সমাধানের জন্য কপিলের পরিবার সালার থানা, স্থানীয় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিল। পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে ঝামেলা মিটেও গিয়েছিল। কিন্তু পরে তা মানতে অস্বীকার করে আনন্দগোপাল। ওইদিন রাতে বাড়ির পাশে খামারে খেত থেকে আসা ধান মজুত করা নিয়ে কাকা-ভাইপোর বচসা বাধে। নিকাশি নালা বুজিয়ে ধানবাহী গাড়ি নিয়ে আসতে গেলে কপিলকে বাধা দেয় আনন্দগোপাল। সেই সময় দুই পরিবারের মধ্যে ফের বচসা শুরু হয়। কিন্তু অভিযোগ, আনন্দগোপাল নিজের বাড়ি থেকে একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে কপিলের বুকে বসিয়ে দেয়। তাতেই মৃত্যু হয় কপিলের। কপিলের বাবা রামকৃষ্ণ গুঁই বাধা দিতে গেলে তাঁরও গলায় ও হাতে কোপ মারে অভিযুক্ত। জখম রামকৃষ্ণ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল আনন্দগোপাল।
পুলিশ জানায়, ওই ঘটনার পর নিজের কয়েক জন আত্মীয়ের কাছে আশ্রয় চেয়েছিল। তবে তারা আনন্দগোপালকে আশ্রয় দেননি। সালার ও কেতুগ্রাম এলাকার ফাঁকা মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। খবর পেয়ে আনন্দগোপালকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এদিন আদালত চত্বরে আনন্দগোপাল খুনের কথা স্বীকার করে বলে, “আমি খুন করতে চাইনি। কপিল ধারাল অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর চড়াও হলে আমিও আক্রমণ করি।’’ কান্দির ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম পবিত্র সেন অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন, জানান সরকারপক্ষের আইনজীবী চিরঞ্জিত রুজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy