বাঁ দিক থেকে রেখা বেওয়া ও রাশেদা বিবি। নিজস্ব চিত্র
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরকারি প্রকল্পের টাকা ঢুকলেও তা হাতে পাচ্ছেন না দুই মহিলা। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায়। ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দুই মহিলার ঋণ থাকায় তাঁদের টাকা দেওয়া যাচ্ছে না।
ফরাক্কার নিমতলার বাসিন্দা রেখা বেওয়া এবং রাশেদা বিবির অভিযোগ, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিধবা ভাতা, গৃহ প্রকল্প-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকলেও তা তাঁরা তুলতে পারছেন না। রাশেদা বলেন, ‘‘ম্যানেজার টাকা দিচ্ছেন না। বলছেন, আমি না কি টাকা ধার নিয়েছি। কিন্তু আমি কোনও টাকা ধার নিইনি। আমার কেউ নেই। এখন ভিক্ষা করে খাই।’’ একই কথা বলছেন রেখাও। তাঁর দাবি, ‘‘আমার অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকেছে। একশো দিনের কাজের টাকা ঢুকেছে। কিন্তু সেই টাকা তুলতে পারছি না। ম্যানেজার বলছে, আমার নামে না কি ঋণ আছে। অথচ আমি জানিই না কবে লোন নিয়েছি। আমি ভিক্ষা করে খাচ্ছি। আমার বাড়িতে কেউ নেই।’’
ওই ব্যাঙ্কের বর্তমান ম্যানেজার আলেক দিও বেঠা বলেন, ‘‘আমাদের কাছে ঋণের নথি এবং সই দুইই আছে। ওঁরা ঋণের নথির জন্য আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে আমরা ঋণের নথি দেব। ওঁরা হয়তো ভুল করতে পারেন। সে কারণে হয়তো ঋণ চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এতে ব্যাঙ্কের কোনও দোষ নেই।’’
এ নিয়ে মকসদ শেখ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘পাঁচ-ছয় বছর আগে স্থানীয় কয়েক জন যুবক ফরাক্কার এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তৎকালীন ম্যানেজার এবং ক্যাশিয়ারের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ অ্যাকাউন্টধারীর ভুয়ো কাগজ বানিয়ে কিসাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নেয়। তারা সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে। এর বছর খানেক পর থেকে যাঁদের নামে ঋণ করা হয়েছে তাঁদের বাড়িতে ব্যাঙ্ক চিঠি পাঠায়। আমি কয়েকটি নথি দেখেছি। ওগুলো ভুয়ো কাগজ। এ নিয়ে আরটিআই-ও করি। তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সাধারণ গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার আবেদন জানাই। এতে তো ব্যাঙ্কই জড়িত। অথচ ভুগছেন সাধারণ মানুষই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy