লক্ষ্মীর ঘট ভাসাতে গিয়ে গঙ্গায় তলিয়ে গেল দুই বোন।
ওদের বাড়ি থেকে গঙ্গার দূরত্ব বড়জোর ২০০ মিটার। গঙ্গায় স্নানে যাওয়াটা তাঁদের রোজকার রুটিন। রবিবার লক্ষ্মীর ঘট বিসর্জন করে তেমনই গঙ্গায় স্নানে নেমেছিল দুই বোন।
কিন্তু ছন্দপতন ঘটল এ দিন। আচমকা নদীতে তলিয়ে যায় এক বোন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে যায় আরও এক বোন। সমশেরগঞ্জের নিমতিতার ঘটনা। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া পায়েল রায় (১৭) এবং দেবযানী রায় (১৫)-এর কোনও খোঁজ মেলেনি।
দেবযানী পায়েলের মামাতো বোন। সমশেরগঞ্জের নিমতিতা মোড়ে পাশাপাশি বাড়ি তাদের। গঙ্গার বিএসএফ ঘাট থেকে তাদের বাড়ি ২০০ মিটার দূরে। কাছেই গঙ্গা বলে নিয়মিত গঙ্গায় স্নানে যেত তারা। দু’জনেই সাঁতার জানত। এদিন বেলা ১০টা নাগাদ দুই বোন একসঙ্গে গঙ্গায় ঘট বিসর্জন করে। তার পরে স্নানে নামে। তাদের সঙ্গে ছিলেন দেবযানীর মা কাঞ্চনী রায়ও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটু গভীর জলে চলে গিয়েছিল দেবযানি। কিন্তু জলের ঘূর্ণীর মধ্যে পড়ে যায় সে। তাকে তলাতে দেখে বাঁচাতে যায় দিদি পায়েল। সেও নদীতে তলিয়ে যায়। সেই সময় ঘাটে থাকা অন্যেরা চিৎকার শুরু করলে, দেবযানীর মা জলে ঝাপ দিয়ে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ভরা গঙ্গায় জলের স্রোত বেশী থাকায় মেয়েদের নাগাল পাননি তিনি। অন্যদের সাহায্যে কোনওরকমে পাড়ে উঠে রক্ষা পান তিনি।
পাশেই বিএসএফ ক্যাম্প। ঘটনার পরপরই প্রথম ঘাটে ছুটে যান বিএসএফ জওয়ানরা। আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিএসএফ জওয়ানরা তাদের জাল নিয়ে উদ্ধার কাজে নেমে পড়েন। পরে আসে পুলিশও। কিন্তু গঙ্গায় জল ও স্রোত অত্যন্ত বেশী থাকায় সন্ধ্যী পর্যন্ত তাদের কোনও খোঁজ মেলেনি।
বি এস এফের পরে গঙ্গায় জাল ফেলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশও। স্পিড বোট নামিয়ে নজরদারি চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এলাকার বাসুন্দাদের দাবি ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু হোক। এলাকায় এখনও উৎসবের রেশ কাটেনি। তার মাঝেই এমন ঘটনায় এলাকায় বিষাদের ছায়া নেমে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy