আদালত চত্বরে ধৃত দু’জন।
জাল নোট-সহ অন্ধ্রপ্রদেশের দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার কাকভোরে নিউ ফরাক্কার একটি হোটেল থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। খবর পেয়ে ওই হোটেলের ৩৩ নম্বর রুমে টোকা মারে পুলিশের দল। তখনও ঠিক মতো ঘুম ভাঙেনি কারও। দরজায় বার বার ধাক্কা মারলেও ঘর খোলেনি।
পুলিশের সঙ্গে ছিলেন হোটেলরই এক কর্মী। হোটেল কর্মীর ডাকে সাড়া দিয়ে দরজা খুলতেই হুড়মুড়িয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েন ফরাক্কা থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ ও চার পুলিশকর্মী। ঘরে থাকা দু’জনে কিছু বুঝে ওঠার আগেই চার পুলিশকর্মী দু’জনকেই জাপটে ধরে ফেলেন।
এর পরে হোটেলের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে দুটি ব্যাগ থেকে মিলেছে সাত লক্ষ টাকার জাল নোট। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার জানান, ধৃত দু’জন অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তোর জেলার রঘুনাথ নাইডু ও রাজেশ দেবল। ধৃতদের কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। দু’হাজার টাকার মোট ৩৫০টি নোট এর আগে বেশ কয়েক বার এই দু’জন জাল নোট নিতে মুর্শিদাবাদে এসেছিল। মালদহের বৈষ্ণবনগরের এক জাল নোটের কারবারিও ওই ঘটনায় জড়িত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথ নাইডুর কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা এবং রাজেশ দেবলের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকার জাল নোট পাওয়া গিয়েছে। প্রতিটি নোট ২০০০ টাকার। এ দিন পুলিশ সুপার জানান, রাজেশ লরি চালক। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে নিয়মিত ১০ চাকার লরি নিয়ে মুর্শিদাবাদ হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত করার সময়ে মালদহের জাল নোটের কারবারিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর পরে রাজেশ ও রঘুনাথ নাইডু তিন থেকে চার বার মুর্শিদাবাদে এসে জাল নোট নিয়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার মালদহের বৈষ্ণবনগরের এক কারবারির কাছ থেকে এই জালনোট সংগ্রহ করে তারা নিউ ফারাক্কার একটি হোটেল উঠেছিল। খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে ফরাক্কা থানার পুলিশ ওই হোটেলে হানা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। রাজেশ লরি চালক হলেও রঘুনাথ তেমন কোনও কাজ করে না। এবারে তারা অবশ্য অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে হাওড়া হয়ে ট্রেনে করে ফরাক্কায় এসেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy