প্রতীকী চিত্র।
পুরসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী বাছাই করবেন তৃণমূলের রাজ্য নেতারাই। মুর্শিদাবাদের দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতিই এ কথা জানিয়ে দিলেন সাংবাদিকদের। এমনকী দুই সাংগঠনিক জেলাতে যে কমিটি রয়েছে তার বাইরেও নির্বাচনী কমিটি তৈরি করা হবে। তারাই নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত সমস্ত কাজ চালাবেন।
গত পুর নির্বাচনে জঙ্গিপুর, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ও বেলডাঙায় একটি আসনও পায়নি তৃণমূল। কান্দিতে ৩টি, ধুলিয়ানে ৬টি, বহরমপুরে ২টি ও মুর্শিদাবাদে (লালবাগ) ১টি মাত্র ওয়ার্ডে জিতেছিল তৃণমূল। এমনকী সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনেও ধুলিয়ান ও জঙ্গিপুর ছাড়া ৫টিতেই বিজেপির চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে তারা। জঙ্গিপুরে ৫টি ওয়ার্ডে যথেষ্ট পিছিয়ে তৃণমূল বিজেপির চেয়ে। সে ক্ষেত্রে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের লাগামহীন দাপট সত্ত্বেও এ জেলার পুর নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে। জেলায় প্রতিটি পুর শহরেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল দলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে। সে সব কথা মাথায় রেখেই ২৭ ফেব্রুয়ারি এ জেলাতে পুর ভোট হচ্ছে ধরে নিয়ে ইতিমধ্যেই সর্বত্রই দল প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জঙ্গিপুরের সভাপতি খলিলুর রহমান ও বহরমপুরের সভাপতি শাঁওনি সিংহ রায়।
প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই তৃণমূলের অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছেন। জেলা নেতাদের হাতে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব থাকলে বড় ধরনের অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। তাই জেলা কমিটি প্রতি ওয়ার্ডে যার নামই প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করুক, প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করবে রাজ্য কমিটিই। তাতে গোলমালের আশঙ্কা কমবে।
তৃণমূলের এক বিধায়কের কথায়, “কথা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বিজেপি এগিয়ে থাকায় ৫ পুরসভাতে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা নিতে পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক। বিশিষ্ট ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীদের নাম বাছাই করে রাখতে বলা হয়েছে।”
খলিলুর বলেন, “পুরপ্রধানের কোনও মুখ নিয়েও আমরা লড়ব না জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ান পুরসভায়। নির্বাচনী ফলাফলের পর সেই মুখও বেছে দেবেন দলের রাজ্য নেতারা। ক’দিন আগেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এ নিয়ে আলোচনা করেছি। তাঁকে আমি আশ্বস্ত করেছি বিধানসভা নির্বাচনের মতোই জঙ্গিপুরের দুটি পুরসভাতেই জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই দলের।”
একই ভাবে শাঁওনির দাবি, ‘‘যে ৫ পুরসভায় নির্বাচন রয়েছে সেগুলির সব কটিতেই ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল। বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার ও দুয়ারে সরকারের ব্যাপক প্রভাব পড়বে এবারের পুর নির্বাচনে।”
জেলায় যে ৭টি পুরসভায় নির্বাচন হচ্ছে তাতে মোট ওয়ার্ড রয়েছে ১৩৫টি। বহরমপুরে নির্বাচন হয়েছিল ২০১৩ সালে।
অন্যগুলিতে ২০১৫তে। শাসক দল তৃণমূল পেয়েছিল মাত্র ১২টি আসন, যার ৬টি ওয়ার্ডই ছিল ধুলিয়ানে। বিজেপি পায় মাত্র ১০টি ওয়ার্ডে জয়। দল ভাঙিয়ে পরে সব ক’টি পুরসভারই দখল নেয় শাসক দল তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy