—প্রতীকী চিত্র।
জলঙ্গিতে তৃণমূলের নেতাদের নিজেদের মধ্যে বার বার গোষ্ঠী পরিবর্তনে, এক রকম দিশেহারা দলরে সাধারণ কর্মীরা। কোন নেতা আজ এই শিবিরে তো কাল অন্য শিবিরে হয়ে লাফালাফি করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না সাধারণ মানুষও। বিরোধীরা দূরের কথা, এখন দলের নিচু তলার কর্মীরাও বিরক্ত। তাঁরা বলছেন, ‘‘দাদারা এখন এবেলা ওবেলা দলের মধ্যেই শিবির বদল করছেন। আর মাঝ থেকে মুশকিলে পড়ছি আমরা। অন্য শিবিরের কারও সঙ্গে পথে-ঘাটে দাঁড়িয়ে দুটো কথা বললেও কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে নেতাদের কাছে।’’
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। এখনও সামাজিক মাধ্যমে ছবিগুলো ঘুরপাক খায়। প্রাক্তন জলঙ্গির ব্লক সভাপতি আরিফ বিল্লা বিষোদগার করছেন বিধায়কের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে বর্তমান দক্ষিণ অঞ্চলের সভাপতি মাসুম আলি একেবারে বিধায়কের ডান হাত হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু দিন কয়েক থেকে দেখা যাচ্ছে বিধায়কের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে মাসুমের। অন্য দিকে আরিফ বিল্লা এখন বিধায়কের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। এমনকি আগামী দিনে দক্ষিণ অঞ্চলের সভাপতি আবারও তিনিই হতে চলেছেন বলে জোর জল্পনা তৃণমূল শিবিরে। আরিফের দাবি, ‘‘পদের জন্য নয়, তৃণমূলের এক জন সৈনিক হিসেবেই কাজ করি। আগাগোড়া। এখনও সেই কাজটাই করে যাচ্ছি। দলের বিধায়ক আমাদের অভিভাবক। এর মধ্যে অন্য অঙ্ক খোঁজা ঠিক নয়।’’
আরও একটা বিরল ছবি এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সমাজ মাধ্যমে। মাস কয়েক আগেও যাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল আদায়-কাঁচকলায় সেই মাসুম ও রাকিবুল ইসলাম এখন এক টেবিলে বসছেন। এমনকি দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জন্মদিনে জলঙ্গিতে যখন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সাংসদ থেকে দলের বিধায়ক, সভা করেছেন সেই সময়ে মাসুম ও রাকিবুল ইসলাম মিষ্টি হাতে এক সঙ্গে পথে হেঁটেছেন জলঙ্গিতে।
জলঙ্গি ব্লকের দক্ষিণ অঞ্চলের সভাপতি মাসুম আলির দাবি, ‘‘আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সকলকে নিয়ে চলার প্রস্তাব দিচ্ছিলাম। কিন্তু বিধায়ক সাহেব সেখানে লাগাম টেনে রাখছিলেন। আমি চাই সকল তৃণমূলকর্মী নেতাদের সঙ্গে নিয়েই সংগঠন চালাতে। এটাই হয়তো বিধায়কের খারাপ লেগেছে। কারও ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছা দলের উপরে চাপিয়ে দেওয়া কখনওই ঠিক নয় বলে মনে করি।’’
জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘আমাদের কাছে কোন নেতা থাকল, থাকল না সেটা বড় বিষয় নয়। আমরা মানুষের প্রহরাদার, দিদির সৈনিক। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলা আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য। মানুষ সঙ্গে থাকলেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy