রানাঘাট ছাতিমতলা মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ ও ভোটার তালিকা সংগ্রহের জন্য তৃণমূলের নদিয়া জেলা প্রতিনিধি করা হল কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী প্রতিটি জেলার জন্য এক জন করে প্রতিনিধির নাম ঘোষণা করেছেন। সেই তালিকায় মহুয়ার নাম থাকায় জেলার রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্ব বাড়ল বলে মনে করছেন এক পক্ষ। বিশেষত বুধবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জেলার জন্য একটি ‘কোঅর্ডিনেশন কমিটি’ গড়ে সাংসদ হিসেবে মহুয়াকেও তাতে যুক্ত করেছেন। তবে আর এক পক্ষের দাবি, এটি নিছকই নির্বাচন কমিশনের থেকে ভোটার তালিকা সংগ্রহের দায়িত্ব। এতে সাংগঠনিক ক্ষমতাবৃদ্ধির প্রশ্ন নেই।
গত লোকসভা নির্বাচনের পর দলের নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী করা হয়েছিল কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়াকে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু বর্ষীয়ান নেতার বিরোধ বাধে বলে অবভিযোগ। পুরভোটের কিছু দিন আগে তাঁকে সরিয়ে ওই পদে আনা হয়েছিল জয়ন্ত সাহাকে। যদিও পুরভোটের পর আবার জয়ন্তকে সরিয়ে বর্ষীয়ান নেতা কল্লোল খাঁ-কে সভাপতি করা হয়েছে।
এর পরেও অবশ্য বিরোধ শেষ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার আয়োজন নিয়েও মহুয়ার সঙ্গে বর্ষীয়ান জেলা নেতাদের ঠান্ডা লড়াই বেধেছিল বলে দলীয় সূত্রের দাবি। তবে বুধবার মহুয়াকেই ওই সভা পরিচালনা করতে দেখার পরেই তাঁর অনুগামীরা দাবি করতে শুরু করেন, জেলা রাজনীতিতে আবার তাঁর গুরুত্ব বাড়ছে। এ দিন দলের ওয়েবসাইটে দলের জেলা প্রতিনিধিদের নামের তালিকা প্রকাশের পরেই তাঁদের কেউ-কেউ বলতে থাকেন, “এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে দল মহুয়া মৈত্রকে সামনে রেখেই পঞ্চায়েত ভোট করতে চলেছে।”
দলের প্রকাশিত তালিকার শুরুতে অবশ্য স্পষ্টই বলে দেওয়া হয়েছে, ‘কেবলমাত্র’ নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটার তালিকা নেওয়া এবং তার জন্য যোগাযোগ রাখাই এই প্রতিনিধিদের দায়িত্ব।
দলের নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ-ও বলছেন, “আমি যত দূর জানি, ওঁকে কেবল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে দলীয় সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই।” দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেন, “এর সঙ্গে সংগঠনের কোনও সম্পর্কের কথা আমার অন্তত জানা নেই। দল আমাকে তেমন কিছু জানায়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy