দুলাল খুনের তদন্তভার নেওয়ার পর মঙ্গলবার, মুখ খুলল সিআইডি।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানাচ্ছেন, ওই তৃণমূল নেতাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করার পরে মুখে কাপড় বেঁধে হেলেদুলে ফিরে গিয়েছিল যারা, আপাত ভাবে তাদের যতই চেনা মনে হোক, আদতে তারা ভাড়া করা খুনি।
খুনের পরে তাদের হাবভাব-চাল চলনের যে বর্ননা পেয়েছেন সিআইডি অফিসারেরা তাতে সে কথাই স্পষ্ট হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
ওই খুনের ঘটনায় পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে আগেই গ্রেফতার করেছিল হাঁসখালির পুলিশ। সিআইডি তদন্তভার নিয়েছে তার পরে। তবে, ওই পাঁচ জন ছাড়া সিআইডি এখন পর্যন্ত আর কাউকে গ্রেফতার করেনি।তবে, জেরা চলেছে বেশ কয়েক জনের। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নজরে রয়েছে আরও তিন জন। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় তাঁরা নিশ্চিত যে, জেলার বাইরে থেকে ‘পেশাদার খুনি’দের নিয়ে এসেই খুন করানো হয়েছে তৃণমূলের ওই দাপুটে নেতাকে। তবে সেই দলে কোন বাংলাদেশী দুষ্কৃতী ছিল কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
১৬ এপ্রিল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বগুলায় নিজের দলীয় কার্যালয়ে খুন হয়েছিলেন শাসক হাঁসখালি তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা বগুলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দুলাল বিশ্বাস। দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। ওই দিনই তার নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। ধারে কাছে ছিল না তাঁর নিজস্ব বিশ্বস্ত বাহিনীও। আর ঠিক সেই সময়ই হানা দিয়েছিল আততায়ীরা। খুনের পিছনে যে বেশ কয়েক দিনের ‘রেকি’ ছিল, দুষ্কৃতীদের হাভভাবেই তা স্পষ্ট।
ঘটনার পরের দিনই পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার তাদের রানাঘাট আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy