চলছে চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র
জমি-জায়গা নিয়ে পাশাপাশি বাস করা দুই পরিবারের অশান্তি অনেক দিনের। তারই জেরে এক পরিবারের বছর পনেরোর কিশোরীকে জোর করে কীটনাশক খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল আর এক পরিবারের বিরুদ্ধে। নবদ্বীপের ফকিরডাঙা-ঘোলাপাড়া পঞ্চায়েতের বাহির চরা অঞ্চলে গত বুধবারের ঘটনা। তবে গত শনিবার এ ব্যাপারে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই কিশোরীর বাবা সহিদুল মণ্ডল। তাঁর মেয়ে ছকিনা খাতুন এখনও অসুস্থ হয়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি।
সহিদুলের অভিযোগ, ছকিনার মুখে জোর করে কীটনাশক ঢেলে দেয় প্রতিবেশী আখতার আলি মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের চার জন সদস্য। এর পরই কিশোরী নেতিয়ে পড়ে ও জ্ঞান হারায়। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত ওই কিশোরী বিপদমুক্ত। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে পুলিশের কাছে একটি জেনারেল ডায়েরি করেন সহিদুল। পরে শনিবার লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
বাহির চরার অন্তর্গত সাহেবনগরের বাসিন্দা সহিদুল জানিয়েছেন, জমিজমা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিবেশী আখতার আলির সঙ্গে তাঁর পরিবারের বিবাদ চলছে। গত বুধবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁর মেয়ে ছকিনা বাড়ির দুই শিশুর সঙ্গে সাহেবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মিড ডে মিলের খাবার নিয়ে ফিরছিল। বাড়ির কাছাকাছি আসতে প্রতিবেশী আখতার আলি মণ্ডল, মহসিন মণ্ডল, নাসুমা বিবি এবং লক্ষী বিবি তাদের পথ আটকায়। সহিদুল বলেন, “ নাসুমা বিবি এবং লক্ষী বিবি আমার মেয়ের দুই হাত শক্ত করে চেপে ধরে রাখে। আখতার তার দুই গালে চাপ দিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য করে এবং মহসিন মণ্ডল আমার মেয়ের মুখে কীটনাশক ঢেলে দেয় এবং তা গিলতে বাধ্য করে। মেয়ে চিৎকার করতে থাকে। আমার ছেলেরা এবং ভাইপোরা ছুটে গেলে ওরা পালিয়ে যায়। এর পরই মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
ছকিনা নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে লেখাপড়া করেছে। এখন সে বাড়িতে তাঁতের কাজ করে। এ দিকে ঘটনার পর থেকেই যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। ওই কিশোরীর পরিবারের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের ধরে শাস্তি দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy