মাস দেড়েক পরে তার বিয়ে। এ দিকে রবিবার রাত থেকে মেয়েটাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরের দিন সকালে বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে এক আমবাগানে তার দেহ মিলল। হাত-পা বাঁধা। গলায় ওড়নার ফাঁস।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, নিমতিতার ধানঘড়ার মঞ্জিলা খাতুন (১৮) নামে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে মেয়েটির মোবাইল ও পাশেই পড়ে থাকা ফাঁকা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ।
ওই কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাবা আলতাব শেখ পেশায় দিনমজুর। বাড়ির অন্য সদস্যেরা বিড়ি বেঁধে সামান্য আয় করেন। আলতাব বলছেন, ‘‘বীরভূমে মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। মাস দেড়েক পরেই ছিল বিয়ের দিন। ওর সম্মতিতেই সব হচ্ছিল। শুরু হয়েছিল বিয়ের কেনাকাটাও। তারমধ্যে এ সব কী করে ঘটে গেল বুঝতে পারছি না।’’
রবিবার রাতে কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল মঞ্জিলার এক দাদার। তিনি জানান, দিনভর পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে সন্ধ্যার পরেই বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। জেগেছিল শুধু মঞ্জিলা। রাত ৯টা নাগাদ সে তাঁকে ফোন করে খাওয়ার জন্য ডাকে। কিন্তু সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়িতে ফিরে তিনি দেখেন, সবাই অঘোরে ঘুমোচ্ছে। কিন্তু মঞ্জিলা বাড়িতে নেই। নেই তার মোবাইল ও কিছু পোশাকও। মঞ্জিলার দাদা কলকাতা যাওয়া বাতিল করে দেন। ওই রাতেই বাড়ির সকলে এলাকায় নানা জায়গায় খোঁজ করেও মঞ্জিলার সন্ধান পাননি। সোমবার সকালে খবর মেলে, বাসুদেবপুরে আম বাগানে পড়ে মঞ্জিলার দেহ।
কী ভাবে দেড় কিলোমিটার দূরের বাগানে গেল মঞ্জিলা?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মঞ্জিলার পরিচিত কেউ এই ঘটনায় জড়িত। বিশ্বাস করে তার ডাকেই রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। জঙ্গিপুরের সিআই মৃণালকান্তি মণ্ডল বলেন, “ওই কিশোরীর সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। অভিযুক্ত সেই যুবককে গ্রেফতার করলেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy