মুর্শিদাবাদের কান্দির বাগডাঙা জিএসএফপি বিদ্যালয়ের ঘটনা। নিজস্ব ছবি।
স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা অন্তত ২০০। খাতায়কলমে শিক্ষক সংখ্যাও ৪। কিন্তু স্কুলে আসেন শুধুই প্রধান শিক্ষিকা। আর এক জন ইচ্ছে হলে মাঝেমধ্যে আসেন। বাকি দু’জনকে নাকি স্মরণযোগ্য কালে ক্লাস নিতে দেখা যায়নি! এমনই অভিযোগ তুলে সেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। মুর্শিদাবাদের কান্দির বাগডাঙা জিএসএফপি বিদ্যালয়ের ঘটনা।
বৃহস্পতিবার স্থানীয়েরা একজোট হয়ে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। প্রধান শিক্ষিকা মৌমা মুখোপাধ্যায়ের কাছে স্কুলের পঠনপাঠন শিকেয় ওঠা নিয়ে অভিযোগও জানান। টেনেটুনে দু’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে কী ভাবে চারটে ক্লাসের পড়াশোনা সম্ভব, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়েরা। প্রধান শিক্ষিকা এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সবাই সরকারের বেতন নেন। কেউ যদি স্কুলে না আসেন, আমি কী করব? আমি এখানে অসহায়।’’ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি বিষয়টি জানাবেন বলেও জানিয়েছেন মৌমা।
স্থানীয়েরা অবশ্য প্রধান শিক্ষিকার সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। অভিভাবক আকাশ মণ্ডলের দাবি, ‘‘প্রধান শিক্ষিকা এত দিন কী করছিলেন? কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাননি উনি?’’ স্থানীয় যুবক অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘আমি অনেক দিন ধরেই শুনছিলাম, স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসছেন না। প্রধান শিক্ষিকা ছাড়া কেউ আসেননি। অনেক পরে এক জন এলেন। এ ভাবে একটা সরকারি স্কুল চলতে পারে? বাড়িতে বসে বসে বেতন পান শিক্ষক-শিক্ষিকারা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy